জাতীয়

জাতীয়

এবার ভূমিকর জমায় পরিবর্তন আসছে

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা এবার ভূমিকর জমায় পরিবর্তন আসছে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আগামী পয়লা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে দেশব্যাপী হাতে হাতে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর থেকে কেবল অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে কর দেওয়ার পর অনলাইনেই কিউআর কোডসমৃদ্ধ দাখিলা (রসিদ) সংগ্রহ করতে পারবেন ভূমি উন্নয়ন করদাতা। ফলে ক্যাশলেস ই-নামজারির মতো সারা দেশে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা চালু হবে। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই মন্তব্য করেন। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো জমির মালিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ‘সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ’ তথা সিএলও নামক একটিমাত্র দলিল ইস্যু করা হবে। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী জমির মালিকের তথ্য, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের তথ্যসহ সামগ্রিক তথ্য এবং ভূমির অবস্থানগত তথ্য যেমন জিও লোকেশসহ জমির মৌজা ম্যাপের তথ্য এই একটি দলিলের সাহায্যে নিশ্চিত করা যাবে। মালিকানা প্রমাণের জন্য আলাদা কয়েক ধরনের দলিল যেমন ডিড রেজিস্ট্রেশন, খতিয়ান কিংবা মৌজা ম্যাপ বহনের প্রয়োজন হবে না। এতে সাধারণ মানুষের ঝামেলা বহুলাংশে কমে যাবে। একই সঙ্গে ভূমির মালিক এমন নাগরিকদের জন্য স্মার্ট কার্ডও ইস্যু করা হবে, যেখানে কার্ড বাহকের মালিকানাধীন জমির তথ্যের ডিজিটাল সংস্করণ থাকবে এবং সব সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী সেসব জমির আগের সব তথ্যও এতে থাকবে। এর আগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ছিল বলেই তাঁকে তিনি দেশের অন্যতম একটি জটিল খাতের সংস্কারের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। মন্ত্রী এ সময় ভূমি সেক্টরে ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম এবং ভূমি আইন সংস্কারের ওপর আলোচনা করেন। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ এবং ‘ভূমি ব্যবহার ও মালিকানা স্বত্ব’ আইনের খসড়া এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যেন এর আইনি প্রয়োগ ভূতাপেক্ষভাবে সর্বশেষ জরিপ পর্যন্ত কার্যকর হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অতীতের যেকোনো সময় থেকে এখন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর মাঠপর্যায়ের গণকর্মচারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে। অসাধু কার্যক্রম চালানোর জন্য অনেক ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি এ সময় বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ দেশের সবার ভূমির অধিকারের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক এবং দেশের অপেক্ষাকৃত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। বিএসআরএফ সহসভাপতি মোতাহের হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

জাতীয়

২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হবে মেট্রোরেল: ওবায়দুল কাদের

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইয়ামিন হুসাইন, ঢাকা ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হবে মেট্রোরেল: ওবায়দুল কাদের দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে ২৮ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করবেন। আওয়ামী লীগের সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপকমিটির সভায় আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর উত্তরা (দিয়াবাড়ি) থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছিল, তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মেট্রোরেল উদ্বোধনের জন্য প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে। ওবায়দুল কাদের আজ জানান, ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিন ঠিক হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১২ সালে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় পরের বছর। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পথে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর–১১, মিরপুর–১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও—মোট ৯টি স্টেশন রয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশন রয়েছে সাতটি—বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল। অবশ্য মেট্রোরেল কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার সম্প্রসারণ করা হবে। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল আগামী বছরের শেষ দিকে চালুর কথা রয়েছে। কমলাপুর পর্যন্ত চালু হতে ২০২৫ সাল লেগে যেতে পারে। ডিএমটিসিএলের তথ্যমতে, মেট্রোরেল ছুটবে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে। শুরুর দিকে রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও যেতে সময় লাগবে প্রায় ২০ মিনিট। পরে যাত্রার সময় ১৬ থেকে ১৭ মিনিটে নেমে আসবে। উদ্বোধনের পর দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে। প্রথম দিকে সকালে কিছুক্ষণ, আবার বিকেলে কিছুক্ষণ ট্রেন চলবে। অর্থাৎ ট্রেন চলাচলের সংখ্যা কম থাকবে। যাত্রীদের ওঠানামা ও আসনে বসা—এসব বিষয়ে অভ্যস্ত ও পরিচিত করাতে স্টেশনে ট্রেন কিছুটা বাড়তি সময় দাঁড়াবে। কিন্তু পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে এবং স্টেশনে দাঁড়ানোর সময় কমে যাবে। ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানান, শুরুতে পাঁচটি ট্রেন চলাচল করবে। ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে সব স্টেশনে থামবে না মেট্রোরেল। শুরুর স্টেশন উত্তরা উত্তর থেকে ছেড়ে ট্রেনটি পল্লবী গিয়ে থামবে। এরপর না থেমে আগারগাঁও চলে যাবে। মাঝের স্টেশনগুলোয় ট্রেন থামানোর কার্যক্রম শুরু হবে পরে। সরকার মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করেছে ২০ টাকা। আর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। প্রথম পর্যায়ে মেট্রোরেল যে অংশে চলাচল শুরু করবে, সেই উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া হবে ৬০ টাকা। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে উত্তরা সেন্টার (মধ্য) ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের ভাড়া একই—২০ টাকা। এ ছাড়া প্রথম স্টেশন (উত্তরা উত্তর) থেকে পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা এবং শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে গণপরিবহনে চলাচলে স্বস্তির দরজা খুলবে। মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে পারবে। এখন যেমন লক্কড়ঝক্কড় বাসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়, অটোরিকশাচালকদের ভাড়ার নৈরাজ্য সহ্য করতে হয়, সেই ভোগান্তি থাকবে না। পরিবহনবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশলের অধ্যাপক সামছুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, মেট্রোরেলের পথে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের যাত্রা আরামদায়ক, দ্রুতগতির ও নিরবচ্ছিন্ন হবে। যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন। এখনকার গণপরিবহনে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানোর কোনো নিশ্চয়তা নেই।

জাতীয়

চট্টগ্রাম টেস্টে দিশাহারা বাংলাদেশ

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ক্রীড়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম টেস্টে দিশাহারা বাংলাদেশ লিটনের এই আউট যেন আজ দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রতীকী চিত্রছবি: শামসুল হক ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, ম্যাচ পঞ্চম দিনে নিয়ে যাওয়াটাই প্রথম লক্ষ্য তাদের। তবে চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনে যা হলো, তাতে বাংলাদেশের জন্য কাজটি এখন বেশ কঠিনই। ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ১৩৩ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ২৭১ রানে। ইবাদত হোসেনের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের নবম উইকেটে ৩১ রানের জুটি আপাতত অলআউট হওয়াটা আটকে রাখতে পেরেছে। দ্বিতীয় সেশনে প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের মূল ক্ষতি করেছেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব, দুজন মিলেই নিয়েছেন ৭ উইকেট। সিরাজ আঘাত করেন ইনিংসের প্রথম বলেই। তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপার ঋষভ পন্তের হাতে ধরা পড়েন নাজমুল হোসেন। ইনিংসের প্রথম বলেই এ নিয়ে ৮ বার কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান আউট হলেন। উমেশ যাদবের শরীর থেকে দূরের বল খেলতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন প্রথমবারের মতো তিনে আসা ইয়াসির। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর চাপ চা-বিরতির আগে আক্রমণে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস ও অভিষিক্ত জাকির হাসান। অষ্টম ওভারে উমেশকে টানা দুটি চার মারেন লিটন, পরের ওভারে অশ্বিনকে ৩ বলের মধ্যে ২টি মারেন জাকির। বিরতির ঠিক আগে উমেশকে দারুণ তিনটি শটে টানা তিন চার মারেন লিটন। লিটনের ইনিংস অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সিরাজের নিচু হওয়া বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন তিনি। চার ওভার পর ফেরেন জাকিরও। এতক্ষণ বেশ ভালো টেম্পারামেন্ট দেখালেও সিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেন। শুরুতে ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া সাকিবও নিজের বিপদ ডেকে আনেন কুলদীপের দ্বিতীয় বলেই সামনে গিয়ে ফ্লিক করার চেষ্টায়। নেমেই প্রথম বলে চার মারা নুরুল আউট হতে ধরেছিলেন একটু পরই। কুলদীপের বলে ভারত নিয়েছিল রিভিউ। এলবিডব্লুর ক্ষেত্রে উইকেটে আম্পায়ার্স কল হয়েছে ধরে নেওয়া হলেও কিছুক্ষণ পর টেলিভিশন আম্পায়ার দেখা শুরু করেন সম্ভাব্য ক্যাচও। প্যাডে লাগার পর নুরুলের ব্যাট বা গ্লাভসের কাছে বল থাকার সময় আবার আলট্রা এজে ছিল স্পাইক। শেষ পর্যন্ত অবশ্য টিভি আম্পায়ার আউট দেননি। পরে কুলদীপের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েই ফেরেন নুরুল, গিল নেন দারুণ রিফ্লেক্স ক্যাচ। কুলদীপের পরের শিকার মুশফিক। সুইপ করে চার মারার পরের বলে ডিফেন্ড করতে গিয়ে মিস করে হন এলবিডব্লু। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নিয়েছিলেন, তাতে কোনো লাভ হয়নি। বল ট্র্যাকিং দেখানোর আগেই হাঁটা শুরু করেন তিনি। আউট হওয়ার আগপর্যন্ত দারুণ নিয়ন্ত্রণ থাকলেও যে এক বলে গড়বড় হলো, তাঁকে ফিরতে হয়েছে তাতেই। সে ওভারেই গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড তাইজুলও। ওয়ানডে সিরিজের নায়ক মিরাজ ও দশম ব্যাটসম্যান ইবাদত এরপর প্রতি-আক্রমণ করেছেন একটু। দুজনই মেরেছেন একটি করে চার ও একটি করে ছয়। এর আগে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ফিফটি, কুলদীপ যাদবের ৪০ রানের ইনিংসে পেরোয় ৪০০। আজও শুরুতে ইবাদতের বলে ডিপ ফাইন লেগে লিটনের হাতে জীবন পাওয়া শ্রেয়াস আগের দিনের সঙ্গে যোগ করতে পারেন মাত্র ৪ রান, সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরেই থামেন। সেই ইবাদতের লাইন ধরে রাখা বলেই বোল্ড হন তিনি। শ্রেয়াসকে দ্রুত ফিরিয়ে ভারতের লেজ ছেঁটে দেওয়ার আশা বাংলাদেশের থেকে থাকলেও তা হতে দেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদব। চা-বিরতির আগে-পরে অষ্টম উইকেট জুটিতে তাঁরা তোলেন ৯২ রান, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের যেটি সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড ছিল অজিত আগারকার ও সুনীল যোশির ৫৬ রান, ২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে। বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো দলেরই অষ্টম উইকেটে এর চেয়ে বেশি রানের জুটি আছে চারটি। সে জুটি ভাঙেন মিরাজ, তাঁকে সামনে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি করা অশ্বিন। পরের ওভারে ফেরেন ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ৪০ রান করা কুলদীপও। ২ ছক্কা মারা উমেশকে আউট করে ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেটটি নেন মিরাজ।

জাতীয়

জামিন হয়নি মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা জামিন হয়নি মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার আদালতে জামিন শুনানিতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তাঁদের আইনজীবীরা বলেন, রাজধানীর পল্টন থানার যে মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই মামলার এজাহারে তাঁদের নাম নেই। দুজনই বয়স্ক ও অসুস্থ। এই মামলায় এর আগে জামিন পেয়েছেন বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া। যেকোনো বিবেচনায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস জামিন পেতে পারেন। অপর দিকে বিএনপি দুই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের যুক্তি, জামিন পেলে মামলার তদন্ত বিঘ্নিত হবে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন। এর আগে গত সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির তিন শতাধিক নেতা–কর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না। ‘ওপরের নির্দেশে’ ওই দুই নেতার বাসায় ৮ ডিসেম্বর (গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে) অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেছিল ডিবি। ৭ ডিসেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের চার মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৮৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অন্যদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুজনকে (আমানউল্লাহ ও আবদুল কাদের) জামিন দেন আদালত। কারাগারে পাঠানো নেতাদের মধ্যে রয়েছে রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির, শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ। বিএনপি বলে আসছে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় তাদের গণসমাবেশের যে কর্মসূচি ছিল, মূলত সেটি বানচাল করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করেছে।

জাতীয়

নাজিরা বাজারে জুতার গুদামে অগ্নিকাণ্ড

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা নাজিরা বাজারে জুতার গুদামে অগ্নিকাণ্ড পুরান ঢাকার নাজিরবাজার সংলগ্ন আলুবাজারের একটি জুতার গুদামের পাঁচতলা ভবনের চতুর্থ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এতে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। আজ বুধবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, বিকেল পাঁচটার দিকে আলুবাজারের একটি জুতার গুদামের পাঁচতলা ভবনের চতুর্থ তলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট পৌঁছায়। আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় তাদের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের আরও আটটি ইউনিট যোগ দেয়। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে যোগাযোগ করা হলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাশেদউদ্দিন (খালেদ) গণমাধ্যমকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের খবর জানা যায়নি।

জাতীয়

দাম কমছে সয়াবিন ও পাম তেলের

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইয়ামিন হুসাইন, ঢাকা দাম কমছে সয়াবিন ও পাম তেলের প্রায় এক মাস পর সয়াবিন তেলের দাম আবার সমন্বয় করা হচ্ছে। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের নতুন দাম হবে ১৮৭ টাকা। আর প্রতি লিটার পাম তেলের দাম দাঁড়াবে ১১৭ টাকা। সারা দেশে আগামী রোববার থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমানোর তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও পণ্যের মজুত ও মূল্য পর্যালোচনার বিষয়ে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সভায় পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯০ টাকা করা হয়। নতুন দাম ১৮৭ টাকায় নির্ধারণের ফলে রোববার থেকে লিটারে ৩ টাকাই কমার কথা। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমবে। তাদের দাবি, বর্তমানে বাজারে ১ লিটার সয়াবিনের দাম ১৯২ টাকা। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রোববার থেকে ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ৯০৬ টাকা, যা বর্তমানে ৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৭২ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১২১ টাকা থেকে কমিয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। লিটারে তিন টাকা কমলেও প্রজ্ঞাপনে পাঁচ টাকা কমানোর কথা বলা হয়েছে কেন–এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে না পেয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হয় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে। সচিব কোনো জবাব দেননি।

আন্তর্জাতিক, জাতীয়

চারখাই থানা বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন ট্রাস্ট ইউকে’র উদ্যোগ। লন্ডনে তরুণ আইনজীবী ব্যারিষ্টার আবুল কালাম চৌধুরীকে সংবর্ধনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- চারখাই থানা বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন ট্রাস্ট ইউকে’র উদ্যোগ। লন্ডনে তরুণ আইনজীবী ব্যারিষ্টার আবুল কালাম চৌধুরীকে সংবর্ধনা। প্রতিবেদনঃ ব্রিটেনে দুই দশক ধরে আইনী পেশা, কেসি সলিসিটরের প্রিন্সিপাল হিসেবে ১০ বছর, বিশিষ্ট কমিউনিটি একটিভিস্ট, রাজনীতিক,টিভি ব্যক্তিত্ব ব্যারিষ্টার আবুল কালাম চৌধুরীকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়েছে। ১১ডিসেম্ববর লন্ডনবাংলা প্রেস ক্লাবে বৃটিশ ব্যাঙ্গলী কমিউনিটির পক্ষ্যে চারখাই থানা বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন ট্রাস্ট ইউকের পক্ষ থেকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা ফয়জুর রহমান খান ও সমন্বয়ক এম এ কুদ্দুসের দু’পর্বের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ ও হেলাল চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্টিত সভার শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠনের সহসাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী এমদাদুল হক। সংবর্ধিত ব্যাক্তিত্ত ও অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা পদক তুলে দিতে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, সংগঠনের ট্রেজারার আহাদ কবির চৌধুরী ও হেলাল আহমদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র মায়ুম তালুকদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে কাউন্সিলার ইকবাল হোসেন ভিপি, কামরুল হোসেন মুন্না, সাবেক স্পীকার, কাউন্সিলর আহবাব হোসেন কাউন্সিলার রেবেকা সুলতানা,কাউন্সিলর আসমা ইসলাম,লন্ডনবাংলা প্রেস ক্লাব নেতা আহাদ চৌধুরী বাবু ক্রীড়া ব্যাক্তিতো আব্দুর রহমান খান সুজা, দিলোয়ার হোসেন,জামাল আহমদ খান, রোমানা আমান, রোকসানা পারভীন জোসনা, গ্রেটার চারখাই ডেভলাপমেন্ট এসোসিয়েশনের সেক্টেটারি জয়নুল ইসলাম চৌধুরী, ট্রেজারার শহিদুর রহমান চৌধুরী মিনু, কিশোয়ার আনাম লিটন আর্থসামাজিক সংগঠন ই এইচ এন, ও পিপুল নিড সাপোর্টের অনেকে নেতৃবৃন্দ। বার্তা প্রেরকঃ আব্দুলনকাদির চৌধুরী মুরাদ।

জাতীয়

যত গর্জে তত বর্ষেনা -প্রসঙ্গ মাদরাসা শিক্ষা

বিলেতের আয়না ডেক্স :-চৌধুরী হাফিজ আহমদ যত গর্জে তত বর্ষেনা -প্রসঙ্গ মাদরাসা শিক্ষা ইসলামি শিক্ষা কে নিয়ে কিছু তথাকথিত দল ও নেতৃত্ব সস্তা জনপ্রিয়তা র লক্ষে নানা চমকপ্রদ কথা বলতেছেন এবং তা নিয়ে ফেইসবুকে শেয়ার দিচ্ছেন , এইটাই বুঝাতে চাচ্ছেন যে মুই কি হনুরে – অথচ এরাই ইউরুপ আমেরিকায় বিড়ালের মত মিউ মিউ করে প্রতিস্টান চালান , উচ্চবাচ্য কথা তো দূরে থাক একদম ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার বলে সকল বাতিল শিক্ষানীতি মেনে চলেন , কিন্তু বাংলাদেশে বাঘ নাই মুল্লুকে শিয়ালের মত অবস্তা , ১৯৮২ থেকে আমি দেখেছি বাংলাদেশে ইসলামি শিক্ষা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের কথা , আমি তখন সবেমাত্র মাদরাসা ই আলিয়া সিলেটে ভর্তি হয়েছি দাখিলে , তখন ছিল সরব তালাবায়ে আরাবিয়া – তাহাদের কর্মসূচীতে দেখতাম ইসলামি শিক্ষার ব্যাপারে নানা শঙ্কা র কথা – এর পরে আলহামদুলিল্লাহ আজ তক শুনছি ই গর্জন – কিন্তু কোন অর্জন নাই এর কারন হচ্ছে ভিতরে ভিতরে সবাই ইহুদীবাদ ও খ্রিষ্ট বাদের পক্ষে , নতুবা আজকের বাংলাদেশে কেন সতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্তা থাকবেনা ? এত পীর মাশায়েখ আলেম উলামার বিচরন অথচ ইসলামের মৌলিক শিক্ষা অনুপস্তিত – যা আছে তা হচ্ছে এক আলেম আরেক আলেম কে তৈল মালিশ করছেন এক পীর আরেক পীরের পদলেহন করছেন – আল ইসলামু হাক্কুন এর পক্ষে কম লোক – আল কুফ্রু বাতিল এর পক্ষে বেশী সংখ্যায় । সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য যে সব গর্জন হয় এতে অর্জন যে শুন্য এর ভুরি ভুরি প্রমান ইতিহাসে রয়েছে , এখন সেই বুলি আওরায়ে আর লাভ নাই , কেননা সত্য সমাগত এবং মিথ্যা দূরীভূত , ইসলামি শিক্ষাকে যেখানে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন হিফাজত করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে অমুক তমুকের গর্জন হুঙ্কার ইদুরের দৌড়ের মতই , মাদরাসা ও কোরআনের শিক্ষা কে যাহারা বাপ দাদাদের সম্পদে পরিনত করে পেট্রো ডলার কামাতে ব্যস্ত তাহাদের মুখে জিহাদ এর ডাক খুব কুৎসিত লাগে , যাহারা প্রতিস্টিত হতে অগণিত লোকদের অবদান খুব সহজে ভুলে যায় তাহাদের প্রতি ঘৃণা ই সমাজের তরফ থেকে আসে , ওরা ব্যবসার জন্য মরিয়া হয়ে গরীব ইয়াতিম অসহায়দের জিম্মি করে চায় নিজের ফায়দা লুটতে । মাদরাসা শিক্ষা চলছে এবং চলবে ইতিহাসের নিস্টুর তম সময়ে ও মাদরাসা শিক্ষা তার গতি হারায়নি যখন এখন ও ইনশাহআল্লাহ হারিয়ে যাবেনা , যার রক্ষাকারী খোদ আল্লাহ সেখানে আমাদের ভয় করার মত কিছু নাই , তবে আল্লাহ তায়ালা আমাদের পরিক্ষা করেন এবং পরিক্ষা দিয়েই যাচাই করেন কাহাঁরা হক্কের সাথে এবং কাহারা বাতিল , যাহারা বাতিল শক্তির সাথে আঁতাত করে চলে তাহাদের কথায় জনগন সাঁরা দেবেনা এবং দেয় ও নি , সংখ্যালঘু হয়েই থাকতে হবে । বাংলাদেশে র প্রেক্ষাপঠে আমি বলব সত্য জয়ী হবে ইনশাহ আল্লাহ , প্রয়োজন শুধু সবর ও তাকওয়ার – চন্দন কাস্টের পালঙ্কে জাযিম বেষ্টিত পশমের কম্বলে মুড়ি দিয়ে শুয়ে জিহাদ হয় না জিহাদ করতে হলে ইবরাহীমের মত আগুনেই ঝাপ দিতে হয় ।

জাতীয়

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। এতে বলা হয়, ডা. শফিকুর রহমান গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে থাকায় তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে না। তাই জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনো গোপন সংগঠনের সাথে তার কোনো সম্পর্ক, সংশ্লিষ্টতা নেই। জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাজনীতি করে। ডা. শফিকুর রহমানের সকল তৎপরতা প্রকাশ্য।

জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য ড. আলাউদ্দিন আহম্মদ আর নেই

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সাবেক সংসদ সদস্য ড. আলাউদ্দিন আহম্মদ আর নেই কিশোরগঞ্জ-১ (পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর) বর্তমান কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহম্মদ (৭৪) আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহম্মদ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া গ্রামের সন্তান। ড. আলাউদ্দিন আহম্মদের ছোট ভাই মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদ দুলাল জানান, ড. আলাউদ্দিন আহম্মদের জানাজা বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নিজ পাকুন্দিয়ার বুরুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহম্মদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ১৯৯৯ সালের উপ-নির্বাচনে ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ১৮ জুলাই ১৯৯৮ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা, রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।  

Scroll to Top