জাতীয়

জাতীয়

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহিদবেদীতে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহিদবেদীতে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহিদবেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছেন সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদবেদীতে রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিক মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন ও সাংবাদিক এমরানুল ইসলাম মুকুলের নেতৃত্বে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যকরী কমিটি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ শহীদবেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমরানুল ইসলাম মুকুলের পরিচালনায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইউছুপ খাঁন বলেন, জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহিদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত হননের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতা কে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বহু চেষ্টা করেছে এবং ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনকের সহ-পরিবারকে হত্যা করেছে। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এদেশের লেজুর ভিত্তিক যারা রয়েছে তারা এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। আজকে আমরা ৫১তম বিজয় দিবসে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের প্রিয় সংগঠন এই রিপোর্টার্স ক্লাব। আমরা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছি।আমরা রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে সীতাকুণ্ডবাসী কে জানাতে চাই বাংলাদেশের যে স্বাধীনতা এই স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য রিপোর্টার্স ক্লাব কাজ করবে। বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের সাথে আমাদের বন্দন টাকে সুদৃঢ় করে সীতাকুণ্ড গণমানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাবো। সীতাকুণ্ডের যেখানে জনদূর্ভোগ থাকবো, অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম থাকবে সেখানে আমরা প্রতিবাদের ভাষাস্বরুপ রিপোর্টার্স ক্লাবের আমরা যারা সংবাদকর্মী রয়েছে আমরা সীতাকুণ্ডের গণমানুষের কথা বলবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য টিপু দাশ গুপ্ত, কামরুজ্জামান কামরুল, এম কে মনির, রেজাউল হোসেন পলাশ, ফারহান সিদ্দিক, ইমাম হোসেন ইমন, মামুনুর রশিদ মাহিন, মহিউদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, এ কে অপু, শেখ নাদিম, আব্দুল মামুন, মামুনুর রশিদ, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

জাতীয়

গনতন্ত্র ছাড়া স্বাধীনতা অর্থবহ হতে পারে না-চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শাহজালাল রানা- চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব‍্যুরোচীফ গনতন্ত্র ছাড়া স্বাধীনতা অর্থবহ হতে পারে না-চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় (অস্থায়ী)শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পন পূর্ব সমাবেশে জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, গনতন্ত্র ছাড়া স্বাধীনতা অর্থবহ হতে পারে না। সরকার দেশে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। অথচ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। পুষ্প স্তবক অর্পনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব ছালাহ উদ্দিন, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ,ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন,জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন শিকদার,আব্দুল আউয়াল চৌধুরী,অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী,সেলিম চেয়ারম্যান,অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী,জাকির হোসেন, আবু জাফর চৌধুরী,আহসানুল কবির তালুকদার রিপন,হাসান মোঃ জসিম, সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, শফিউল আলম চৌধুরী, মুরাদ চৌধুরী মোঃ সিদ্দিক, এ্যাডভোকেট ফরিদা আক্তার, মহিউদ্দিন,এস এম ফারুক, লাইলী বেগম,মুসলেম উদ্দিন,রহমত উল্লাহ,মনিরুল আলম জনি, লিয়াকত আলী, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, তাসলিমা আক্তার, ,কে আলম, নুরুল ইসলাম বাবুল ফখরুল হাসান, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন,তাহেরা মোহররম, আব্দুল হক,ইমাম হোসেন, শাহজাহান শাহিল, মোঃ মামুন, মোঃ বাহাদুর, আশিকুর রহমান ফয়েজ প্রমূখ।

জাতীয়

রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শাহজালাল রানা- চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব‍্যুরোচীফ রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ বিএনপি রাউজান উপজেলা পৌরসভা এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের যৌথ উদ্যোগে আজ ১৬ই ডিসেম্বর সকাল দশটায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে (অস্থায়ী) পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্প স্তবক অর্পনকালে উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ জসিম, রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন, উপজেলা নেতা আব্দুল হক, মোঃ ওয়াসিম, মহিউদ্দিন, শাহজাহান সাহিল, আশিকুর রহমান ফয়েজ, মোঃ মামুন, মোঃ মিনহাজ প্রমূখ।

জাতীয়

মহান বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাহমুদুর রহমান শানুর। মহান বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা। – আজ ১৬ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। গত ২৪ বছরের পাকিস্তানী জান্তাদের শাসনের অবসান হয়েছিল।বাংলাদেশের মানুষের জীবনের আনন্দের দিন। সীমাহীন আনন্দ। মুক্তি সেনারা মুক্ত করে এনেছিল এই স্বাধীন দেশ। ৩০ লক্ষ শহীদ ও দু’লক্ষ মা বোনের আত্ম বলিদানের মধ্য দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা।১৯৭১ সালের বিজয়ের এই দিনে বাংলার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় জয় বাংলা শ্লোগান বাংলার আপামর বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। মুক্তি সেনারা দেশটা কে মুক্ত করে ছিনিয়ে এনেছিল। লাল সবুজের পতাকা। বিজয়ের পতাকা। দীর্ঘ ৯ মাস মরণপণ লড়াই শেষে এই দিনে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত বিজয়। বীর শহীদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। শোষণ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দিন। সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দিন। সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত,জংগীবাদ, রাজাকারমুক্ত, সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শিকল ভেঙে বিজয় উদযাপন করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যোকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। সূর্যের রক্ষাক্ত ছড়িয়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালির চোখে আনন্দ অশ্রু ও আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ় মনোবল দিয়ে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে বাংলাদেশ।বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। বিশ্বে মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। যে সব বীর সন্তানদের প্রানের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র। বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকীতে দাড়িয়ে এই মূহুর্তে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেবে জাতি। ৫১তম বছরে নানা বিচূতি সত্বেও বাংলাদেশের রয়েছে এগিয়ে যাওয়ার গল্প। তলাবিহীন ঝুড়ির বদনাম থেকে বেরিয়ে এসে উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য ভুমিকা রেখে চলছে। মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তব রূপ লাভ। পায়রাবদ্ধ নির্মাণ করে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের রাস্তা ঘাট, রেললাইনের সংস্কার সহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নতুন নতুন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করে শিক্ষার সুযোগ সুবিধা করা হয়েছে। শতভাগ শিক্ষার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ভুমিকা রেখে চলছে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার বিচার কার্যকর করা হয়েছে পাশাপাশি যুদ্ধোপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের মাধ্যমে রায় কার্যকর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পথে এগিয়ে যাওয়ার আদর্শিক লড়াইয়ে পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রগতি হয়েছে। সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পেরিয়ে এসে স্বীকার করতে হবে যে,দেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও এখনো স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। দেশের নানামুখী উন্নয়নের পরে ও আমরা দেখি সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আজও অর্জিত হয়নি। আর হয়নি বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বাঙালির হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরব ও অহংকারের দিন। দীর্ঘ ন’মাস বিভীষিকাময় সময়ের পরিসমাপ্তির দিন। লক্ষ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্তস্নাত, স্বামীহারা,সন্তানহারা, বাবাহারা, নারীর অশ্রুধারা, দেশের সর্ব শ্রেষ্ট বুদ্ধিজীবিদের হত্যা ও বীরঙনাদের সীমাহীন ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এই মহান বিজয়। ৫১ বছর আগে এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বোভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল আত্ম পরিচয়ের ঠিকানা। বিজয়ের এই দিনে শপথ নেওয়া হবে দেশ থেকে মৌলবাদ জঙ্গিবাদ উগ্রবাদিতা ও সামপ্রদায়িক অপশক্তির ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করার। শপথ নেওয়া হবে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও প্রগতির পথে বাধাদানকারীর সমূলে উত্পাটন করার। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আর আত্ম প্রত্যয়ী হবে নতুন প্রজন্ম। এই স্বপ্ন সত্যি করতে বাঙালি জাতি এক সাগর রক্ত ঢেলেছে।

জাতীয়

কার ভাগ্যে চট্টগ্রাম টেস্ট

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম কার ভাগ্যে চট্টগ্রাম টেস্ট ভারতের দরকার ১০ উইকেট, বাংলাদেশের ৪৭১ রান। বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার প্রথম টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২৫৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। সফরকারিদের দেয়া ৫১৩ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করার সময় স্বাগতিকদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৪২ রান। টেস্ট জিততে ভারতের তাই এখন দরকার ১০ উইকেট। আর বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হবে ৪৭১ রানের এক পাহাড় অসম্ভব পথ। চট্টগ্রামে আগের দিন করা ১৩৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র ১৭ রান যোগ করে অলআউট হয় টাইগাররা। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ছন্নছাড়া হয়ে যায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের চায়নাম্যান কুলদ্বীপ যাদব নেন ৫টি উইকেট। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল ইনিংস শুরু করেন ভারতের হয়ে। ২৩ তম ওভারে খালেদের বলে তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ভারত কাপ্তান লোকেশ রাহুল। আর একপাশ ধরে রেখে সেঞ্চুরি হাঁকান গিল। ১১০ রানে মেহেদী মিরাজের শিকার হন তিনি। এছাড়া চেতেশ্বর পূজারা অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ৫১২ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান করেছিলো সফরকারিরা। এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো বল করেন লিটন দাস। ৫১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে দেননি দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। শান্ত ২৫ এবং জাকির অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।

জাতীয়

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কে যে ভাবে হউক আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ)

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কে যে ভাবে হউক আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আমি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটাই কথা বলতে চাই যেকোনো মূল্যে রাজাকারদের দোসর বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে হবে। রাজনীতির মাঠ থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করতে হবে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা দেশ বিরোধী তাদের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে কোনো আলোচনা চলবে না। যারা বিএনপির সঙ্গে মিটমাটের কথা বলে তারা কার্যত বাংলাদেশে রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ দিতে চায়। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আর কোনো আপস নয়। যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের সঙ্গে কোনো আলাপ চলতে পারে না।

জাতীয়

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে চলছে ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে চলছে । আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে তারা এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। তারা বলেন, আমরা না কি সন্ত্রাস করতে চাই। সন্ত্রাস যদি এদেশে কেউ করে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ করেছে। আর এই আওয়ামী লীগ আবার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের কোন উস্কানিতে পা দিবেন না। সরকার উস্কানি দিচ্ছে, মিথ্যাচার করছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে কথা বলছেন। তাই সরকারের উস্কানিতে আপনারা পা দিবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে জনগণকে সঙ্গে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব। বিএনপি বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য মাঠে নেমেছে- । আমরা বিভাগীয় ১০টি সমাবেশে প্রমাণ করেছি- আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। এই ১০টি সমাবেশের কোন জায়গায় কোনো অরাজকতা এবং কোন বিশৃঙ্খলা হয় নাই। সরকারকে দেশের মানুষ চায় না, এটা যখন তারা বুঝতে পেয়েছে- আমাদের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছে দেশের মানুষ। তখন তারা দিশেহারা হয়ে নানা রকম কথা-বার্তা বলছেন। আর সরকার যখন দেখছে যে তাদের দিন শেষ, সেজন্য দেশে-বিদেশের মানুষকে প্রতারণা করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, মহা একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে বাংলাদোশ অতিক্রম করছে। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় তাদের ক্ষমতাকে ঠিকে রাখার জন্য তারা এই সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সরকার আজকে দেশে-বিদেশে একটা অগণতান্ত্রিক সরকার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সরকার এবং হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। শোভাযাত্রায় বিএনপি নেতা ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, তাইফুল ইসলাম রফিকুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

জাতীয়

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫১তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এসময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

আজ মহান বিজয় দিবস

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইয়ামিন হুসাইন, ঢাকা আজ মহান বিজয় দিবস আজ বাঙালি জাতির চিরদিনের গৌরব, অসমসাহস, বীরত্ব ও আত্মদানে মহিমান্বিত অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন। আজ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মরণপণ যুদ্ধের শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বীর বাঙালি। পাকিস্তানি হানাদার বর্বর ঘাতক সেনাবাহিনী অবনত মস্তকে অস্ত্র নামিয়ে রেখে গ্লানিময় আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন আজ। যেসব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়েই এই দিবসের মহিমা প্রকাশ পাবে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করার পরও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। এরই এক পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঘুমন্ত নিরীহ নিরস্ত্র সাধারণ বাঙালিদের ওপর চালায় মানব ইতিহাসের ঘৃণ্যতম গণহত্যা। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে। এর আগেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে হানাদারদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে অর্জিত হয় চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরাক্রমের কাছে মাথা নত করে পাকিস্তানি ঘাতক দল। পৃথিবীর বুকে অর্ধশত বছর আগের এই দিনে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। বাঙালি ঊর্ধ্বলোকে তুলে ধরে প্রাণপ্রিয় লাল-সবুজ পতাকা। আজ সকাল থেকেই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন সর্বস্তরের মানুষ। পরাধীনতা ঘোচাতে জাতির যে বীর সন্তানেরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, কৃতজ্ঞ জাতি আজ তাঁদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে। আজ সরকারি ছুটি। রাজধানীর পাড়া-মহল্লা, সড়কের মোড়ে মোড়ে বাজবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আর মুক্তির অবিস্মরণীয় গান। বাড়ির ছাদের কার্নিশে, অফিস-আদালত, দোকানপাটে, অনেক যানবাহনে উড়বে লাল-সবুজ পতাকা। ইতিমধ্যে আলোকসজ্জা করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও সড়কদ্বীপগুলোতে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি দেখা দিচ্ছে। এ সংকট মোকাবিলায় সরকার সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদানসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বিগত ৫১ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন, তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।’ কর্মসূচি বাসস জানায়, জাতীয় পর্যায়ে এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এ দিন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোও। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে।

জাতীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাহমুদুর রহমান শানুর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি। আজ ১৪ ডিসেম্বর শহী দ বুদ্ধিজীবী দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল, তখন বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল নৃশংসতম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ। জাতি যখন বিজয়ের খুব কাছাকাছি, সেই সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে ধরে হত্যা করে। ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা এই সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। জাতি আজ স্মরণ করবে একাত্তরে অকালে প্রাণ হারানো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি কালো অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত। একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার করে।। তাদের এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বুদ্ধিজীবিদেরকে হত্যা করেছে । হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। একাত্তরের সেই যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এদেশীয় দোসর আলবদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আলবদর বাহিনী আরো অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে আলবদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর হত্যা করে। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন—অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, অধ্যাপক জি সি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ অনেকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় একই ভাবে বুদ্ধিজীবিদেরকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। বাঙালি জাতি কে মেধা শুন্য করার জন্য তাদের পরিকল্পনা ছিল। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার প্রথিতযশা রাষ্ট্রচিন্তাবিদদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিজয়ের স্বাদ গ্রহণের পূর্বে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে অত্যন্ত করুন ভাবে নির্দয়ভাবে অত্যাচার করে হত্যা করেছিল। দেশের মুক্তির জন্য রণাঙ্গনে ঝাপিয়ে পড়তে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবিদের যথেষ্ট ভুমিকা ছিল অপরিসীম। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুজিব নগর সরকার গঠন ও দেশের বিভিন্ন এলাকাকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ও সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সেক্টর প্রধানসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও যথেষ্ট ভুমিকা ছিল অপরিসীম। দেশপ্রেমে উদ্বেলিত ছিল তাদের ধ্যান ধারণা।’৭১সালে বুদ্ধিজীবিরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। শোষণ বঞ্চনার বিপক্ষে দাড়িয়ে তাঁরা নিজের শেষ রক্তবিন্দু বিলিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষাবিদ ডাক্তার, সাহিত্যিক, গবেষক, লেখক, সাংস্কৃতিক কর্মী একটি দেশের অলংকার। তাঁরা দেশের সম্পদ। জাতির সর্বশ্রেষ্ট সন্তান। তাদের চিন্তা ও লেখনীতে জাতি দিক নির্দেশনা পায়। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী আমাদের ভিত্তি দূর্বল করে দেয়ার জন্য নৃশংস কায়দায় আমাদের আত্মার আপনজন, শ্রেষ্ট গুণীজনদেরকে হত্যা করেছে। জাতি এখন ও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে দেশের জন্য জীবন দেয়া জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।

Scroll to Top