জাতীয়

জাতীয়

সীতাকুণ্ডে অস্ত্র সহ আটক ২

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি সীতাকুণ্ডে অস্ত্র সহ আটক ২ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানায় কর্মরত এসআই হারুনুর রশিদ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বিশেষ অভিযানে জামাল উদ্দীন নামে এক ডাকাত কে অস্ত্রসহ আটক করেছে। শনিবার ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানাধীন ৫নং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এর উত্তর মাহমুদাবাদ শুকলালহাট এলাকাস্থ চিটাগাং কেমিক্যাল ফ্যাক্টরীর ২ নম্বর গেটের সামনে রেল লাইনের উপর বসে থাকা অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি শুটার গান, ৪ টি কার্তুজসহ পরোয়ানাভুক্ত ডাকাতির মামলার আসামী জামাল উদ্দীন (২৯), পিতা-আবুল কাশেম, সাং-উত্তর দাড়ালিয়াপাড়া (কেশনের বাড়ীর সংলগ্ন), ৩নং ওয়ার্ড, বাড়বকুণ্ড ইউপি, থানা- সীতাকুণ্ড, জেলা –চট্টগ্রামকে আটক করেন। এই সংক্রান্তে সীতাকুণ্ড মডেল থানার মামলা নং-২৬, তাং১৭/১২/২২ ইং, ধারা-১৯ এ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ মোঃ জাবেদ (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটককৃত জাবেদ সন্দ্বীপ উপজেলার উড়িরচরের মোঃ ইব্রাহিমের পুত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামান বলেন, নগরীর অলংকার মোড় থেকে সীতাকুণ্ডগামী একটি বাসে সন্দ্বীপের উড়িরচরে যাচ্ছিলেন জাবেদ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঐ বাসে অভিযান চালিয়ে জাবেদের ব্যাগ থেকে একটি ওয়ানশুটারগান ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়। জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জাতীয়

আল্লাহর সৃষ্টির সব কিছু মানুষের জন‍্য, আর মানুষকে তৈরী করেছেন আল্লাহর ইবাদত করার জন‍্য — মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রাউজান প্রতিনিধি আল্লাহর সৃষ্টির সব কিছু মানুষের জন‍্য, আর মানুষকে তৈরী করেছেন আল্লাহর ইবাদত করার জন‍্য — মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ ৭নং রাউজান ইউনিয়ন পশ্চিম শাখার উদ‍্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উদযাপন উপলক্ষে আজিমুশান সুন্নী কনফারেন্স ও দাওয়াতে খায়ের মাহফিল ৯ডিসেম্বর শুক্রবার রমজান আলী চৌধুরী হাট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরো। উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মোটর মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ হোসেন কোম্পানি। সংগঠনের সভাপতি খোন্দকার নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সচিব মোহাম্মদ এসকান্দর হোসাইনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা কাদেরীয়া তৈয়‍্যবীয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ‍্যাক্ষ, বিশিষ্ট মিডিয়া ব‍্যক্তিত্ব মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, দাওয়াতে খায়ের মোয়াল্লিম ছিলেন চট্টগ্রাম সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ জালাল উদ্দিন আল-আযহারী, বিশেষ আলোচক ছিলেন ফটিকছড়ি শান্তিরহাট আহমদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সরোয়ার আলম আল কাদেরী, মাওলানা এম সাইফুল ইসলাম নেজামী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাওলানা গাজী মোহাম্মদ ফোরকান আল কাদেরী, নাতে রাসুল (স:) পরিবেশন করেন শায়ের মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এহসান কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাউছিয়া কমিটি রাউজান উপজেলা উত্তরের সভাপতি অধ‍্যক্ষ আল্লামা ইলিয়াস নুরী, সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াছিন হোসাইন হায়দরী, মঙ্গলখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের সভাপতি সারজু মোহাম্মদ নাছের, মাওলানা নিজাম উদ্দিন আশরাফী, জলিলনগর খানকা-ই কাদেরীয়া তৈয়‍্যবীয়া তাহেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক সিদ্দিকী, এসএম লিটন, হাফেজ আব্দুল আজিজ, এজাবত উল্লাহ সওদাগর, ইকবাল হোসেন শওকত। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, আবু তাহের সওদাগর, আব্দুল আউয়াল সুজন, মাওলানা জসিম উদ্দিন, আবু সৈয়দ মাষ্টার, মঈন উদ্দিন জিলানী, আব্দুস সালাম, তছলিম উদ্দিন বাদশা,সুমন আনোয়ার, মোহাম্মদ সরোয়ার, মোহাম্মদ সায়েম, মোহাম্মদ জাহেদ, মোহাম্মদ মিজান, মোহাম্মদ জসিম, মোহাম্মদ আসিফ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মাষ্টার, আব্দুল হাকিম প্রমুখ।

জাতীয়

হাটহাজারীতে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

বিলেতের আয়না ডেক্স :- হাটহাজারী প্রতিনিধি  হাটহাজারীতে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরুষ্কার তুলে দিচ্ছেন প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম। হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাব ও দৈনিক হাটহাজারী নিউজ পরিবার এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী ভুমি কমিশনার আবু রায়হান, মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ। আয়োজিত অনুষ্ঠানে খ গ্রুপে প্রথমস্থান অধিকার করে হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ‍্যালয় ও কলেজ।

জাতীয়

বিভিন্ন সময়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী আ.লীগ নেতাকর্মীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিভিন্ন সময়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী আ.লীগ নেতাকর্মীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা। স্হানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত শতাধিক নেতাকর্মীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় কমিটি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, স্হানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী, দলীয় কোন্দল সৃষ্টিকারী শতাধিক আবেদন গ্রহণ করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য এবারের সম্মেলনের বাজেট ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা কমিয়ে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা জাতীয় কমিটি নির্ধারণ করেছে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জাতীয়

আওয়ামী লীগ বিজয় শোভাযাত্রা করেছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী লীগ বিজয় শোভাযাত্রা করেছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শোভাযাত্রার মূল বহর রাজধানীর শাহবাগ অতিক্রম করেছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে এটি শেষ হবে। আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার আয়োজনে এ শোভাযাত্রায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ও তাদের শাখা সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। ঢাকার বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাল-সবুজের সাজে সজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রায় এসেছেন। দুপুর থেকে রমনা শাহবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো মিছিলসহ এসে জড়ো হয়। সব মিছিল এসে রমনা ধানমন্ডি সড়কে সমাবেশে রূপ নেয়। একদিক থেকে শুরুর ঘোষণা এলেও অপরপ্রান্ত প্রায় ধানমন্ডি ছুয়েছে। দীর্ঘ মিছিল রাজধানীজুড়ে বিজয়ের আবহ তৈরির পাশাপাশি জনভোগান্তিও সৃষ্টি করেছে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক। হুমায়ুন কবির, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

জাতীয়

যাদের জন্ম হয়েছে, ক্যান্টমেন্টে তাঁরা আবার আমাদের কে গণতন্ত্রের ছবক দেয় – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যাদের জন্ম হয়েছে, ক্যান্টমেন্টে তাঁরা আবার আমাদের কে গণতন্ত্রের ছবক দেয় – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি মিলিটারি ডিক্টেটরদের হাত ধরে যেসব দল তৈরি হয়েছে, সে দলগুলোর মধ্যে কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল। দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দেশের মানুষকে শোষণ-বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্য নিয়ে। যারা মার্শাল ল দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে পরিচয় দেন, জ্ঞানী-গুণী বলে পরিচয় দেন, তাদেরও মুখে শুনি- দেশে নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আমার এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে মিলিটারি ডিক্টেটরদের সময় যারা মার্শাল ল’দিয়ে রাষ্ট্র চালিয়েছিল, সেটাকেই কি তারা গণতন্ত্র বলতে চান? ওটাই কি তাদের গণতান্ত্রিক ধারা ছিল? শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে বলে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়। আর সেটা করতে গিয়ে অবৈধ মিলিটারি ডিক্টেটর সেনাবাহিনীর বহু মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, হাজার হাজার সৈনিককে হত্যা করে। বিমানবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করে। তাদের গ্রেপ্তার করে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কারাগারে নিক্ষেপ করে। এই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় বসে একটা দলও গঠন করে ফেলে এবং মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

জাতীয়

মহান বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাহমুদুর রহমান শানুর। মহান বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা। -আজ ১৬ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। গত ২৪ বছরের পাকিস্তানী জান্তাদের শাসনের অবসান হয়েছিল।বাংলাদেশের মানুষের জীবনের আনন্দের দিন। সীমাহীন আনন্দ। মুক্তি সেনারা মুক্ত করে এনেছিল এই স্বাধীন দেশ। ৩০ লক্ষ শহীদ ও দু’লক্ষ মা বোনের আত্ম বলিদানের মধ্য দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা।১৯৭১ সালের বিজয়ের এই দিনে বাংলার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় জয় বাংলা শ্লোগান বাংলার আপামর বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। মুক্তি সেনারা দেশটা কে মুক্ত করে ছিনিয়ে এনেছিল। লাল সবুজের পতাকা। বিজয়ের পতাকা। দীর্ঘ ৯ মাস মরণপণ লড়াই শেষে এই দিনে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত বিজয়। বীর শহীদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। শোষণ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দিন। সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দিন। সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত,জংগীবাদ, রাজাকারমুক্ত, সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শিকল ভেঙে বিজয় উদযাপন করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যোকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। সূর্যের রক্ষাক্ত ছড়িয়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালির চোখে আনন্দ অশ্রু ও আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ় মনোবল দিয়ে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে বাংলাদেশ।বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। বিশ্বে মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। যে সব বীর সন্তানদের প্রানের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র। বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকীতে দাড়িয়ে এই মূহুর্তে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেবে জাতি। ৫১তম বছরে নানা বিচূতি সত্বেও বাংলাদেশের রয়েছে এগিয়ে যাওয়ার গল্প। তলাবিহীন ঝুড়ির বদনাম থেকে বেরিয়ে এসে উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য ভুমিকা রেখে চলছে। মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তব রূপ লাভ। পায়রাবদ্ধ নির্মাণ করে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের রাস্তা ঘাট, রেললাইনের সংস্কার সহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নতুন নতুন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করে শিক্ষার সুযোগ সুবিধা করা হয়েছে। শতভাগ শিক্ষার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ভুমিকা রেখে চলছে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার বিচার কার্যকর করা হয়েছে পাশাপাশি যুদ্ধোপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের মাধ্যমে রায় কার্যকর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পথে এগিয়ে যাওয়ার আদর্শিক লড়াইয়ে পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রগতি হয়েছে। সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পেরিয়ে এসে স্বীকার করতে হবে যে,দেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও এখনো স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। দেশের নানামুখী উন্নয়নের পরে ও আমরা দেখি সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আজও অর্জিত হয়নি। আর হয়নি বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বাঙালির হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরব ও অহংকারের দিন। দীর্ঘ ন’মাস বিভীষিকাময় সময়ের পরিসমাপ্তির দিন। লক্ষ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্তস্নাত, স্বামীহারা,সন্তানহারা, বাবাহারা, নারীর অশ্রুধারা, দেশের সর্ব শ্রেষ্ট বুদ্ধিজীবিদের হত্যা ও বীরঙনাদের সীমাহীন ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এই মহান বিজয়। ৫১ বছর আগে এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বোভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল আত্ম পরিচয়ের ঠিকানা। বিজয়ের এই দিনে শপথ নেওয়া হবে দেশ থেকে মৌলবাদ জঙ্গিবাদ উগ্রবাদিতা ও সামপ্রদায়িক অপশক্তির ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করার। শপথ নেওয়া হবে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও প্রগতির পথে বাধাদানকারীর সমূলে উত্পাটন করার। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আর আত্ম প্রত্যয়ী হবে নতুন প্রজন্ম। এই স্বপ্ন সত্যি করতে বাঙালি জাতি এক সাগর রক্ত ঢেলেছে।

জাতীয়

অভিষেক টেস্টে জাকিরের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, বিপদ কাটেনি বাংলাদেশের

বিলেতের আয়না ডেক্স :- অভিষেক টেস্টে জাকিরের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, বিপদ কাটেনি বাংলাদেশের প্রথম তিন দিনেই চট্টগ্রাম টেস্ট একরকম নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশকে ৫১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় তারা। তৃতীয় দিন বিকেলে এবং চতুর্থ দিনে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। জাকির হাসানের অভিষিক্ত সেঞ্চুরিতে দিন শেষে ছয় উইকেটে ২৭২ রান করে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে আরও ২৪১ রান প্রয়োজন তাদের। ভারতের প্রয়োজন চার উইকেট। বিস্তারিত আসছে……    

জাতীয়

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে ‘মহান বিজয় দিবস’ উদযাপিত”

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শাহজালাল রানা- চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব‍্যুরোচীফ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে ‘মহান বিজয় দিবস’ উদযাপিত” আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত। বিজয় দিবসের শুরুতেই আইআইইউসি ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহনে ক্যাম্পাসে বিজয় র‍্যালী হয় ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আইআইইউসির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে আইআইইউসির সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই বিজয়ের নেপথ্যের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ২৩ বছরের পাকিস্তান শাসন আমলে বাঙ্গালি জাতি যে শোষণের স্বীকার হয়েছিল, তারই বিরুদ্ধে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের এই বিজয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি অত্বন্ত দৃঢ় ভিত্তি আছে এবং এই ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা পেয়েছিলাম লাল সবুজের পতাকা। আমাদের বিজয়ের গৌরবময় ইতিহাস আজকে বাঙ্গালি জাতিকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড় করিয়েছে। আমরা আজকে লাল সবুজে আচ্ছাদিত হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিজয় উদযাপন করছি৷ আজকের এই মহান দিনে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের স্মরণ করছি ও তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা যারা আমাদের আলোকবর্তিকা, তাঁদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মছরুরুল মওলার সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসির ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রেজিস্ট্রার জনাব এ এফ এম আক্তারুজ্জামান কায়সার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন হাফিজ, আইকিউএসি এর ডিরেক্টর প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন,শরীয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামিল মাদানী, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. মোহাম্মদ শামীমুল হক চৌধুরী, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. জাহেদ হোসেন সিকদার, আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মনজুর হোসেন পাটোয়ারী। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভার শুরু হয়, কোরআন তেলওয়াত করেন আইআইইউসির কোরআনিক সাইন্স ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মোঃ লুতফুর রহমান আল-আজহারী। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আইআইইউসির প্রক্টর জনাব মোঃ ইফতেখার উদ্দিন।  

জাতীয়

সীতাকুণ্ডে মহান বিজয় দিবস পালিত

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি সীতাকুণ্ডে মহান বিজয় দিবস পালিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যথাযগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সীতাকুণ্ড কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম -৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে সীতাকুণ্ড মডেল থানা, মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁনের নেতৃত্বে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন । মহান বিজয় দিবস। বাঙালী জাতির হাজার বছরের বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন ১৬ ডিসেম্বর। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযোদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন । বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযোদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্র লীগ, শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, ব্ঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, মহিলা লীগ, মিছিল স্লোগানের মাধ্যমে শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম। উপজেলা আঃলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আঃলীগের সহ- সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, সহ- সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম বাবুল, সহ -সভাপতি জেলাপরিষদ সদস্য আ ম ম দিলসাদ, ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল হক, শেখ রেজাউল করিম বাহার, বাবু কিশোর ভৌমিক, মহিউদ্দীন আহম্মেদ, জাহাঙ্গীর ভুঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম তাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর, সাঈদ মিয়া, আইন সম্পাদক আতিকুল মান্নান জামশেদ, কৃষি সম্পাদক শফিউল আলম মুরাদ, তথ্য সম্পাদক ফেরদৌস আলম, ত্রাণ সম্পাদক আলা উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক রতন কুমার মিত্র, প্রচার সম্পাদক আসলাম হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দীন, জালালা আহম্মদ, আবদীন আল মামুন, মহিলা সম্পাদিকা সেলিনা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মানিক লাল বড়ুয়া, শিক্ষা সম্পাদক আবু বক্কর, বন সম্পাদক রুহুল আমিন, কোষাধক্ষ্য জাহাঙ্গীর আলম চৌঃ,সদস্য মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, বিজয় চক্রবর্তী প্রমুখ। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। দিনটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সভায় সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলসাদ, সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জলি। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন সাবেরীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া, সকাল সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ড আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্যারেড সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় এতে অংশ গ্রহণ করে পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল, বি এন সিসি , গালর্স গাইর্ড, ক্যাডেট কোর, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইসচার্জ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালী জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয়, জয় বাংলা বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দঘন এই দিনে এক নতুন উল্ল্যাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজীবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালী চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপে তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। প্রথম আগুন জ্বলে ‘৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারী। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি পাকিস্তানীদের সঙ্গে হিসাব-নিকাশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালী শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ‘৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে। বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালী জাতি হিসাব করতে বসে। অবশেষে জেগে উঠে ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকন্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। বাঙালী সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়, চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালী। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালী নিধনযজ্ঞ। মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরও শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালী। ইতোমধ্যেই বাঙালীর স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালীর ভাগ্য যোদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যোদ্ধের। অবশেষে ৯ মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালী জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হলো মুক্তিযোদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালী জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালীর জীবনে।

Scroll to Top