Author name: বিলেতের আয়না রাজ রুমেল

mm
Rumel Ahmed
বিনোদন

he started his freelancing career in the local marketplace

The dream of success is as simple as weaving. Generally, people cannot think outside the box because of their fascination with life. Those who can, they are successful. One such dreamer and energetic youth is Rumel Ahmed who has established himself as a successful entrepreneur, web and graphic designer. Rumel was born on 29 July  and brought up in Golapganj Upazila of Sylhet District. His father is Hafiz Uddin and mother is Rukiya. From a young age, he had a different inclination towards technology, but he was also very adept. He started developing his skills in web and graphic design at the age of 14. At a very young age, he started his freelancing career in the local marketplace and went on to become almost successful. Now he is also known as a good web designer. He always wondered how a unique business could grow. He established Little scientist branding and Little Scientists, when he was 18 years old.  Little Scientists is a digital agency where you can easily find a variety of solutions ranging from branding to digital marketing, web design and development, business ideas. There are many start-up companies in Bangladesh which are not able to attract people due to proper branding. Little Scientists will provide cutting edge solutions so that these small start-ups can easily start their business in a smart and attractive way. Not only this, with the help of Little Scientists you can find beautiful brandable domain names without any hassle. Rumel said the beginning was never easy. Even so, no one from my parents or family stopped me from doing this. I feel proud of them. When I was 12, I didn’t have a smartphone or a computer. There was a Java phone, by which I used to google how to build a website. At that time, I made a website for myself with my mobile. Later computers, smartphones came to me and the speed of skill development increased. Then I started learning web and graphic design well. Whenever I had a problem, I would google it and watch videos on youtube. From the beginning, a different spirit was at work. I think there is no shortcut to success, you have to work hard to succeed. Different obstacles will come, if I stop, I will lose. When asked about his hobbies, Rumel said, “I have been a cricket lover since I was a child. I like cricket very much. And there was a little bit of music practice. Sometimes it feels good to listen to different songs and cover favorite songs. I love to acquire knowledge and develop new skills.” His suggestion for young entrepreneurs to develop skills, work hard and not to waste time on social media. If time could be invested in knowing or learning something new, many would probably go far beyond their dreams. Learning has become much easier than before. If you have the desire to achieve something, then you will definitely succeed. Rumel was not an extraordinary boy. But now he is known by too many people just for his hard work and passion.

অপরাধ

গোলাপগঞ্জের আলোচিত মিছবাহ উদ্দিন হত্যা

গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক মিলনায়তন সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন হত্যার ঘটনায় সাবেক স্ত্রী ডা. রুলী বেগম বিনতে রহিমকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা নিউজ ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের মার্ভেলাস টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।   সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. রুলী বেগম বিনতে রহিম সাংবাদিকদের বলেন- আমি উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় উকড়কান্দি গ্রামের মরহুম আব্দুর রহিমের মেয়ে। আমার বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন থেকে আমার সাবেক স্বামী মিছবাহ উদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে একটি মহল আমাকে জড়ীয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছে।   এই মহলটি মূলত তাদের অপরাধ ঢাকতে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে তারা এই অপ্রপ্রচারে লীপ্ত রয়েছে। আমার সাবেক স্বামী মিছবাহ উদ্দিনের সৎ মা রিনা বেগম ও তার ছেলে জাবেদ আহমদ, মেয়ে শাপলা বেগম, ঝিনুক বেগম এবং জাবেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম সবাই মিলে মিছবাহ’র পিতা আপ্তাব উদ্দিনকে প্ররোচনা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে সামাজিক, আর্থিক ও মানসিক ভাবে এবং আমার ছেলে ও মেয়েকে মানসিকভাবে বিপর্যস্থ করে মিছবাহ’র মত মেরে ফেলতে চাইছে। আমি আজ উপস্থিত হয়েছি এসবের প্রতিবাদ করার জন্য এবং সত্য কি তা জানানোর জন্য।   রুলী বেগম বলেন- আমি আপনাদের এলাকার মেয়ে এখানেই আমার বেড়ে উঠা, লেখা-পড়া সব কিছু। আমি চাই কলম সৈনিকরা সত্য তথ্যগুলো সবার কাছে তুলে ধরবেন এবং সত্যের সাথে থাকবেন। মিছবাহ ছোট বেলায় তার পিতা তার মাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন। এজন্য শেষ পর্যন্ত মিছবাহ’র পিতা আপ্তাব উদ্দিন তাহার মাকে তালাক দেন। এর পর তিনি নতুন বিয়ে করে সৎ মাকে ঘরে তুলে আনেন। ছোট থেকেই মিছবাহকে সৎ মা কারণে অকারণে নির্যাতন করতেন। মিছবাহ’র সৎ মায়ের ঘরে এক ভাই ও তিন বোন জন্ম গ্রহণ করে। তাদের কাছে মিছবাহ বোঝা ছিল। পরবর্তীতে মিছবাহ’র সাথে আমার বিবাহ হয়। সৎ মা ও ভাই-বোনদের নির্যাতনে আর পিতার শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এক সময় মিছবাহ উদ্দিন মানসিক রোগীতে পরিণত হয়। এই মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছেলেকে দিয়ে তাহারা টাকার জন্য আমাকেও আমার ছেলে মেয়েকে মারধর করাতো। এত নির্যাতন সহ্য করেও আমি তাকে সুস্থ করার জন্য অনেক মানসিক রোগের ডাক্তারকে দেখিয়েছি। যার প্রেসক্রিপশন আমার কাছে আছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে সুস্থ না করতে পেরে এবং তার নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।   তিনি আরো বলেন- আমার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবার পর মিছবাহ সৎ মা, ভাই-বোনেরা তাহার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বৃদ্ধি করলে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে অনেক বার আত্মহত্যার চেষ্ঠা করে। যার প্রমাণ আল হারমাইন হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সময় ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর তারিখে ছাড়পত্রে বিস্তারিত লেখা আছে। যার রেজি: নং-২০১৮/১১০২৪২১। সে যে মানসিক রোগী তার বিভিন্ন মেডিকেলের কাগজপত্র আপনাদেরকে দিব। এগুলোর কপি অলরেডী আমি কোর্ট, থানা সব জায়গায় দিয়েছি। মেডিক্যাল বোর্ড এর রিপোর্ট অনুযায়ী মিসবাহ Schizophrenia and other Psychotic disorder and Bronchial Asthma রোগে আক্রান্ত ছিল। Schizophrenia একটি সিরিয়াস মানসিক রোগ যে রোগে রোগীরা কাল্পনিক ও বাস্তবিক জগতের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনা। মিসবাহ ২৪/১১/২০১৮ ইং তারিখে মানসিক রোগের চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসে আর ঠিক পরের দিন মিছবাহ’র পিতা সৎ মায়ের পরামর্শে ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর মিছবাহকে অস্ত্র দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। এবং জেল হাজতে প্রেরণ করে। যার জিআর মামলা নং ২০৩/২০১৮ ইংরেজি। বর্তমানে মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা নং-২২/২০১৯ যা বর্তমানে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এই মামলায় তার বাবা আপ্তাব উদ্দিন সৎ মায়ের ভাইয়ের ছেলেরা জাহাঙ্গীর আলম, শিপু আহমদ ও তাহার চাচা মুক্তার আলি ১৬১ ধারায় মিছবাহ’র বিরুদ্ধে জবানবন্দী দেন। যার কপি আমি আপনাদেরকে দিব।   তিনি বলেন- মিছবাহ অসুস্থ থাকায় জেল হাজতে যাবার পর তাকে ওসমানী হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই মামলা থেকে আমিও তাহার নিজ বোন হাইকোর্ট থেকে জামিন করে নিয়ে আসি। মিছবাহ মারা যাবার দুই মাস আগে আমি জানতে পারি তার সকল বিষয় সম্পত্তি তাহার ছেলে মেয়েদের নামে দিতে চায়। যার জন্য তাহার বাবা, ভাই-বোনদের সাথে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এসব বিষয় নিয়ে তারা মিছবাহ উদ্দিনকে আবারো মারধর করে। এতে সে আরো অসুস্থ হয়ে যায়। এরপর তার নিজ বোন লিপি তাকে বুঝিয়ে পিতা আপ্তাব আলীর মাধ্যমে ০২ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে সিলেটে মনরোগ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর ১২ জুলাই ২০২২ইং তারিখে পুরোপুরি সুস্থ না করে সৎ মায়ের পরামর্শে বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে যে বিভ্রান্তমূলক ভিডিও ছাড়া হয়েছিল সেখানে তার সৎ মা বলেছিলো ১৪/০৭/২০২২ ইংরেজি বাহিরে পাঠিয়েছিল। এই অসুস্থ অবস্থায় উনি কেন মিছবাহকে বাহিরে যেতে দিলেন। এ থেকে প্রশ্ন উঠে মিছবাহকে পরিকল্পিতভাবে বাহিরে পাঠিয়ে হত্যা করা হয়।   তিনি বলেন- আরোও একটি প্রশ্ন রয়ে যায় ১৪ জুলাই বাড়ি থেকে বের হলেও ১৯ জুলাই মিছবাহকে আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এই পাঁচ দিন মিছবাহ কোথায় ছিল? তিনদিন চিকিৎসাধীন থেকে ২২ জুলাই বিকেলে মিছবাহ মারা গেলেও তার ছেলে মেয়েদেরকে এবং আমাকে তারা কেন খবর দেয়নি? কেন তারা গুরুতর অসুস্থ মিছবাহকে উন্নত চিকিৎসা করায়নি। আর মিছবাহকে কে বা কারা মেরেছে এই স্বীকারোক্তি যদি তার বাবার কাছে দিয়ে থাকে তাহালে উনি কেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ঐ সময় জানাননি ? মিছবাহ’র কথা গুলো কেনই বা কোন মোবইল দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করেননি? তাহালে কেন কোন প্রমাণ ছাড়াই তিনি আমাকে দোষী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আমার মানহানি করছেন। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তাহার মৃত্যুর কারণ ছিল হার্ট এট্যাক, শ্বাসকষ্ট জনিত ও Schizophrenia মানসিক রোগ। তারা তাকে নিউরো সার্জারি বিভাগে নিয়ে গেলে হাসপাতালের ইষ্টার্ণ ডাক্তাররা সিসিউ / মিডিসিন/মানসিক বিভাগে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু তারা ডাক্তারদের কথা না শুনে এ বিভাগে ফেলে রাখে। এমনকি তার মৃত্যর সময় তাহার পাশে কেউ ছিলনা তাদের কথামত। এমনকি মিছবাহ বাচ্ছাদের ও তারা জানায়নি। মিছবাহ উদ্দিন বিকেলে মারা যায়। তারা সন্ধ্যায় আমাকে জানায়। মিছবাহ চাচাতো ভাই আরিফ আমায় ফোন দিয়ে বলে মিছবাহ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে। তার লাশ হাসপাতাল থেকে নিতে সমস্যা হচ্ছে। এরপর আমি হাসপাতালে যাই সেখানে যাবার পর আমাকে তার চাচাতো ভাই আরিফ তার ফুফা পংকি মিয়া কোতায়ালী থানায় লাশের ব্যাপারে কথা বলতে হবে বলে নিয়ে যায়। এরপর কোতয়ালী থানায় মিছবাহ বাবা আপ্তাব উদ্দিন জনৈক হোসেন রাজা, লিঠন গাজি উপস্থিত হয়ে আমায় গ্রেফতার করার জন্য চেষ্ঠা চালায়।   রুলী বেগম বলেন- মিছবাহ’র পিতা আপ্তাব উদ্দিন, মিছবাহ এর সৎ ভাই জাবেদ আহমদ, লিঠন গাজী, আলী রেজা, হোসেন রেজা সংঘবদ্ধভাবে মিছবাহ’র মৃত্যুর ঘটনায় আমাকে দোষি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তারা কোন প্রমাণ ছাড়াই বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

অপরাধ

দিনে দুপুরে ত্রানের টাকা ও মোবাইল ছিনতাই

নিউজ ডেক্স: সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটিস মানবিক মহিউদ্দিন। গোলাপগঞ্জ থানার ঢাকাদক্ষিণ বাজার চৌমুহনিতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মহিউদ্দিনের সাথে থাকা ত্রানের টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। জানা গেছে, বাজারের বনফুলে বসে ফাস্ট ফুড খাচ্ছিলেন মুহি উদ্দিন। এমন সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাকে ঘিরে ধরেন এবং তাকে মারধর করেন। মারধর শেষে তার সঙ্গে থাকা সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংগ্রহ করা বেশ কিছু ত্রানের টাকা ও তার মোবাইল কেড়ে নেয় সেই সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা হামলার শিকার আহত মুহি উদ্দিনকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার ঘটনায় আহত মুহী উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিনতে পেরেছেন‌‌ এবং এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নয় এলাকাবাসী। তবে আশেপাশের ব্যবসায়ী এবং অনেকে বলেন, বনফুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করলে হামলাকারীদের পরিচয় শনাক্ত করা এবং ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। হামলার শিকার মহিউদ্দিন সবসময় মানবিক কাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এলাকায় আলোচনায় থাকেন। তিনি গরীব দুঃখীদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন। তার উপর এই হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ আহত মহিউদ্দিনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিল এবং এই হামলার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক, রাজনীতি

বৃটেনে বাঙালি পাড়ার নির্বাচন ২০২২

আজ ৫ মে ২০২০ বৃটেনে স্থানীয় সরকারের (কাউন্সিল) নির্বাচন চলছে। এ নির্বাচনে সারা দেশে অনেক বাঙালি প্রার্থী আছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কমিউনিটি সাংবাদিক আছেন তাদের সকলের জন্য শুভকামনা।বাঙালি পাড়া হিসেবে খ্যাত টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির প্রার্থী জন বিগস’র সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুজন বাঙালি প্রার্থী। একজন সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান এবং অপরজন দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার রাবিনা খান। রাবিনা খান এবার লিব-ডেম থেকে দাঁড়িয়েছেন।

দেশজুড়ে, মুক্তমত, রাজনীতি

জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সাথে যুক্তরাজ্য জাসদের মতবিনিময়। 

গত ৪ঠা মে বুধবার পুর্ব লন্ডনের ক্যাফে গ্রীল রেষ্টুরেন্টে যুক্তরাজ্য জাসদের উদ্দোগে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় । যুক্তরাজ্য জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা  এডভোকেট হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আবুল মনসুর লিলুর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্হিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং জাসদ স্হায়ী কমিটির সন্মানিত সদস্য জনাব মোহাম্মদ মহসিন । এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মতবিনিময় সভায় এবং বক্তব্য রাখে যুক্তরাজ্য জাসদের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, ইউরোপিয়ান জাসদ নেতা মতিয়ুর রহমান মতিন, সিলেট জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমদ মুক্তা, যুক্তরাজ্য জাসদের সহ সভাপতি মজিবুল হক মনি, সহ সভাপতি সৈয়দ এনামুল হক বদরুল, সহসভাপতি আব্দুল হালিম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন খাঁন শামীম, দপ্তর সম্পাদক সাবুল সামসুজ্জামান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রেদঁয়ান খাঁন, যুক্তরাজ্য জাসদের সদস্য মোঃ আব্দুল হক প্রমুখ

Rumel Ahmed
অন্যান্য, অপরাধ, অর্থনীতি, আইন, আন্তর্জাতিক, এক্সক্লুসিভ, কৃষি ও প্রকৃতি, ক্যাম্পাস, খেলাধুলা, গণমাধ্যম, জাতীয়, তথ্যপ্রযুক্তি, দেশজুড়ে, ধর্ম, নারী ও শিশু, প্রবাস, ফিচার, বিজ্ঞপ্তি, বিনোদন, ভ্রমণ, মুক্তমত, রাজনীতি, লাইফস্টাইল, শিক্ষা, সম্পাদকীয়, সাম্প্রতিক, সাহিত্য, স্বাস্থ্য

ফ্রিল্যান্সার থেকে তরুণ উদ্যোক্তা

এখনকার তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। পড়াশোনার পাশাপাশি তরুণরা এখন বিভিন্নরকম কর্মকান্ডে নিজেদেরকে যুক্ত রাখছেন, শিখছেন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে। তেমনই একজন তরুণ রুমেল আহমদ, যিনি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করছেন ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে।   সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা রুমেল বড় হয়েছেন সেখানেই। কৃতিত্বের সাথে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি শেষ করেছেন। তার বাবা হাফিজ উদ্দিন এবং মা রোকিয়া বেগম। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়তে চান তিনি।   প্রযুক্তিই যেনো রুমেল এর নেশা-পেশা। প্রযুক্তির প্রতি এই ভালোবাসা দিন দিন বাড়তে থাকে তার। গ্রামের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ১৪ বছর বয়সে ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইনে তার স্কিল ডেভেলপমেন্ট শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি মাত্র ১৫ বছর বয়সে লোকাল মার্কেটপ্লেস এ ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে শুরু হয় রুমেল এর ক্ষুদে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। পড়াশোনা পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সহজ না হলেও পূরণ করেছে রুমেল এর ছোট-বড় অনেক স্বপ্নই।   সবার মতো রুমেলেরও কিছু করে দেখানোর প্রবল ইচ্ছে ছিলো। সবসময় তার মাথায় বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া বা কনসেপ্ট ঘুরে বেড়াতো। একসময় নিজেই একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি “ক্ষুদে বিজ্ঞানী” নামক একটি ব্র্যান্ডিং ও ডিজিটাল এজেন্সির প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষুদে বিজ্ঞানী হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল এজেন্সি, যেখানে ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, ব্যবসার আইডিয়াসহ আরও বিভিন্ন সমাধান পাওয়া যাবে সহজেই। আমাদের দেশে ছোটো-খাটো, কম বা বেশি অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি আছে যারা সঠিক ব্র্যান্ডিং এর কারণে সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারেনা। এই ধরণের স্টার্টআপ’রা যেনো সহজেই তাদের ব্যবসাকে দ্রুত বৃদ্ধি বা প্রসার করতে পারে সেই সমাধানই দিচ্ছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী।   রুমেল আহমদ বলেন, শুরুটা কখনো সহজ হয় না। তবুও ছোট থেকে বাবা-মা, ফ্যামিলির কেউই আমাকে বাঁধা দেয়নি এ কাজে। তারা আমাকে নিয়ে গর্বই করতেন। যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছি সবার। প্রযুক্তির প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোবাসা ছিল, যেটা সচরাচর সবার মধ্যে থাকে না। আমার বয়স যখন ১২ বছর, আমার কাছে কোনো স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার ছিল না। একটা জাভা ফোন ছিল, যেটায় আমি সবসময় গুগল করতাম আর প্রায়শই নতুন নতুন জিনিস শিখতাম।   সেসময় মোবাইল দিয়েই নিজের জন্য একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেছিলাম। পরে আমার কাছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন আসে এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রতি আমার আলাদা একটা ঝোক ছিলো। ফলে, আমি ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন দিয়েই শুরু করি আমার স্কিল ডেভেলপমেন্ট। আমি কোনো সমস্যায় পড়লে সবসময় গুগল করতাম অথবা ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতাম।  শুরু থেকেই কাজের প্রতি আলাদা একটা স্পিরিট কাজ করতো। আমার মতে, সফলতা অর্জনের কোনো শর্টকার্ট পথ নেই, সফলতা অর্জন করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি আসবেই, থেমে থাকলে তো হেরেই গেলাম।   তার ভাষ্য, আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সময় ব্যয় করছি। এই সময়টুকু যদি নতুন কিছু জানা বা শেখার পেছনে ইনভেস্ট করা যেতো তাহলে আমরা অনেকেই হয়তো  আমাদের স্বপ্নের চেয়েও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। বর্তমানে অনলাইনে কোটি কোটি ফ্রি রিসোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল, ই-বুক/ ব্লগ আর্টিকেল, অডিও বুক ইত্যাদি রয়েছে। শেখার মাধ্যম টা আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। একটু বৃত্তের বাইরে চিন্তা আর চেষ্টা করলেই হয়তো সুন্দর সুন্দর সব স্কিলগুলো আয়ত্তে আনা সম্ভব। বর্তমানে চাকরির অবস্থা কি করুণ, তা হয়তো আমাদের সবারই জানা। স্কিল বা দক্ষতা থাকলে আপনাকে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে না। আপনি নিজেই আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে তুলতে পারবেন সুন্দর একটি ক্যারিয়ার।

Scroll to Top