বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে — রওশন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, অনেকে প্রশ্ন করেন, কেন আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলাম না। জাতীয় পার্টির অনেক নিবেদিত প্রাণ নেতা, যাদের ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তাদের বাদ দিয়ে তো আমি নির্বাচন করতে পারি না। আমার ছেলের আসনও যদি কেড়ে নেয়া হয়, তাহলে ছেলেকে ফেলে রেখে নির্বাচনে যেতে পারি না।
তিনি বলেন, তারপরও আমি সব কিছু মেনে নিতে পারতাম, যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি না হতো। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এটা আমি কীভাবে মেনে নেবো?
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত দলের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন: সঠিক রাজনীতি করতে গেলেই দল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা হয়
জাপাকে উদ্ধারের জন্য উদ্যোগ নেয়ায় তার পক্ষের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে রওশন বলেন, পার্টির অগণিত নেতাকর্মীর একান্ত দাবির মুখে আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েছি। আজ আপনারা আমার দায়িত্ব নেয়াকে অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারাই জাতীয় পার্টির সব ক্ষমতার উৎস। আপনারা যেভাবে চাইবেন, পার্টি সেভাবেই পরিচালিত হবে।
জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। কোনো ষড়যন্ত্র, বিভ্রান্তিতে আপনারা কান দেবেন না।
৯ মার্চের সম্মেলন সফল করার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সম্মেলনের জন্য আমরা রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতিও পেয়েছি। আপনারা ৯ মার্চ সকাল ১০টার মধ্যে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের নিয়ে উপস্থিত হবেন। ওইদিন আপনারাই জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচিত করবে। ব্যর্থতায় পার্টিতে বিপর্যয় নেমে এসেছিলো।
জি এম কাদেরপন্থিরা জাপা থেকে এরশাদের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন অভিযোগ করে রওশন এরশাদ বলেন, পল্লীবন্ধুর নীতি-আদর্শ, তার চেতনা-প্রেরণা, তার ভাবমূর্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব যারা মুছে দিতে চান, তারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দেয়ার অধিকার রাখেন না। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের মলাট থেকে পল্লীবন্ধুর ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবারের নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি রাখতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার নির্বাচনী পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখেছেন। অথচ জাতীর পার্টির চেয়ারম্যানের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি জায়গা পায়নি। এটা জাতীয় পার্টির অগণিত নেতাকর্মীর মনে আঘাত দিয়েছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাপার রওশনপন্থী অংশের কো-আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রওশনপন্থী মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।
জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে — রওশন এরশাদ।
Share:
Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
পপুলার
আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে, নিতে নয়।
এপ্রিল ১১, ২০২৪
ঈদের দিন হামাস নেতার ছেলে ও নাতি নিহত ।
এপ্রিল ১১, ২০২৪
জিম্মি জাহাজে আব্দুল্লাহর মধ্যে ঈদের নামাজ আদায় করলেন নাবিকরা।
এপ্রিল ১১, ২০২৪