জাপা অন্য দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সেটা পার্শিয়ালি কারেক্ট — জিএম কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাপা অন্য দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সেটা পার্শিয়ালি কারেক্ট — জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা জিএম কাদের বলেছেন, অনেকে বলছে আমাদের দল ভাগ হয়ে যাবে। কিন্তু দল ভাগ হওয়ার আশঙ্কা দেখছি না। এরশাদ সাহেবের নাম ও আদর্শ দিয়ে আরও ১০টি গঠন হতে পারে। তবে আমাদের দল ভেঙে আরেকটি দল গঠন করার পরিবেশ পরিস্থিতি এ মুহূর্তে দেখছি না। শনিবার জাপার বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা অন্য দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়েছি, সেটা পার্শিয়ালি কারেক্ট (আংশিক সত্য)। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমাদের দলের মধ্যে ব্যাপকভাবে সংশোধন হওয়ার দরকার আছে। আমরা যদি সেটা না করতে পারি তবে সামনের দিকে দল ভাঙবে না শুধু, দলের অস্তিত্বও থাকবে না। দলকে মানুষ ভালোবাসবে না, দলের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে নাতা কর্মীদের উদ্দেশে  জাপা চেয়ারম্যান বলেন,  সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে। আমরা ব্যর্থ হলে দল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা ভাঙন নিয়ে চিন্তিত নই। কিন্তু আমাদের নিজেদের মধ্যে যে ত্রুটি আছে সেগুলো সারিয়ে তুলতে হবে।
জিএম কাদের বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হয় আমরা মধ্যযুগীয় ব্যবস্থায় চলে যাচ্ছি। আইনমন্ত্রী সেদিন একটি কথা বললেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও ৫০ বছর লাগলে দিতে হবে। এটাকে আমি দেখেছি মধ্যযুগীয় ব্যবস্থার মতো। মধ্যযুগে পেশিশক্তির মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হতো। অর্থাৎ জোর যার  মুল্লুক তার।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ বিভ্রান্তিকর স্টেটমেন্ট দিয়েছে। তারা বলেছে ২৬টা সিট ছেড়ে দিলাম জাতীয় পার্টির ফেভারে। কিন্তু তারা সব সিট ছাড়েনি, সব জায়গায় তাদের লোক দিয়ে রেখেছে। আমাদের অনেক প্রার্থী বিভ্রান্ত হয়েছেন। অনেকে এটাকে মহাজোট বলেছেন, আবার অনেকে এটাকে সিট ভাগাভাগির কথা বলেছেন। আমি প্রথম দিন থেকে বলেছি, এটা মহাজোট হয়নি। সিট ভাগাভাগি হয়নি। এটা বিভ্রান্তিকর, আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেছে। এটি না হলে আমাদের ফল এর চেয়ে আরও ভালো হতো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বা‌য়ক তৈয়বুর রহমান, সদস্য সচিব সুলতান আহমেদ সেলিম প্রমুখ।

আরও পড়ুন:  স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top