যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর। ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর।
ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।
সোমবার এটিকে ইহুদি বিরোধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে এর সদস্য হওয়া ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার কথা বলেছে দেশটি। এ অপরাধে ১৪ বছরের সাজা হতে পারে।
রয়টার্স লিখেছে, ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সংসদে পাস হলে ১৯ জানুয়ারি থেকে ইসলামপন্থি দলটি যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এতে করে এটি আল কায়েদা ও আইএসআইএস এর মতো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হয়ে যাবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সুন্নি ইসলামপন্থি এ গোষ্ঠীকে ইহুদি বিদ্বেষি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন, সংগঠনটি সন্ত্রাসবাদকে প্রচার করে ও উৎসাহ দেয়। গত ৭ অক্টোবর এটি ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণের প্রশংসা ও উদযাপন করেছে।
সেদিন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করার তথ্য তুলে ধরে ক্লেভারলি বলেন, হিজবুত তাহরীর এসব আক্রমণের প্রশংসা করে এবং হামাসকে তাদের বীর হিসেব তুলে ধরে সন্ত্রাসবাদকে প্রচার ও উৎসাহ দেয়।
তিনি বলেন, ইহুদিদের বিরুদ্ধে হামলার প্রশংসা ও উদযাপনের পুরনো ইতিহাসও রয়েছে সংগঠনটির।
যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে হিজবুত তাহরীরের যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক প্রতিনিধিকে ইমেইল করেও তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে লিখেছে রয়টার্স।
এর আগে ২০০৯ সালে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় ধর্মভিত্তিক এ সংগঠনকে বাংলাদেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, দীর্ঘদিন থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সংগঠনটি নিষিদ্ধ রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, জার্মানি, পাকিস্তান, মিসর এবং মধ্য এশিয়া ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশেও এটি নিষিদ্ধ।
ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে লেবাননভিত্তিক সংগঠনটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা আরও কিছুসহ ৩২টি দেশে এটির কার্যক্রম রয়েছে।

আরও পড়ুন:  আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনা এবং কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ওবায়দুল কাদের।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top