বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটের কীনব্রীজ খোলে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চলাচল করবে না।
অবশেষে খুলেছে কিনব্রিজ। সংস্কার কাজের জন্য টানা ৪ মাসেরও বেশী সময় বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার খুলে দেয়া হয়েছে নগরীর প্রবেশদ্বার খ্যাত কিনব্রিজটি। খুলে দেয়ার সাথে সাথে ছোট ও মাঝারী ধরনের যান চলাচল করলেও বিকেল থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় সবধরনের যান চলাচল। এরপর থেকে শুধুমাত্র জনসাধারণকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিনব্রিজের গেইটে দুইজন ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সবধরনের যানবাহন ব্রিজের মুখ থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এসময় যান চলাচল রোধে ব্রিজের প্রধান ফটকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজের একটি ট্রাককে লোহার পিলার বসানোর কাজ করতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালের দিকে ব্রিজটি খুলে দেয়ার পর রিক্সা ও সিএনজি অটোরিক্সার পাশাপাশি মাইক্রোবাস এমনকি পাজারো চলতেও দেখা গেছে। তবে বিকেলের দিকে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ আগস্ট কিনব্রিজ মেরামত, নবায়নসহ নির্মাণকাজের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুইমাস ব্রিজের উপর দিয়ে সবধরনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পথচারীদের চলাচল বন্ধ করতে সেতুটির দুই পাশে দেওয়া হয় টিনের বেড়া। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়ানো হয়েছে ৪ বার। সর্বশেষ সময় বাড়িয়ে ১৬ ডিসেম্বর ব্রিজ খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় ফের বাড়ানো হয় সময়। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ব্রিজটি খুলে দেয়া হয়। ফলে সীমাহিন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পান ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার জনতা।
জানা গেছে, দুইমাস সময় হাতে নিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করলেও সাড়ে ৪ মাসেও শেষ হয়নি কাজ। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন নির্ধারিত সময়ের আগেই সংস্কার কাজ শেষ হবে, খুলে দেওয়া হবে কিনব্রিজ। সর্বশেষ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবার নতুন করে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে এরমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে এই নির্ধারিত সময়েও কাজ শেষ করতে না পারায় ব্রিজটি খুলে দিতে পারেন নি তারা। ফলে আরেক দফা বাড়ে সময়। যা শেষ হয় ২১ ডিসেম্বর।
পথচারী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে যাতায়াতের সহজপথ কিনব্রিজ। ব্রিজ মেরামতের কাজ ধীরগতিতে চলায় বেশ কষ্ট পোহাতে হয় ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের। সেতু দিয়ে চলাচল করতে না পারায় দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হতো তাদের। এতে বাড়তি সময় ও বাড়তি টাকা ব্যয় হয়েছে। এতে লাভবান হন খেয়া পারপারের ইজারাদাররা এবং সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, ব্রিজটি সওজের অধীনে থাকলেও সংস্কার কাজ করেছে রেলওয়ে বিভাগ। সংস্কার কাজ করতে গিয়ে নতুন করে আরো কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে যায়। ফলে সংস্কার কাজে একটু বেশি সময় ব্যয় করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর ঘিরে অন্যদিকে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় ১৫ ডিসেম্বর ব্রিজটি খুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর শেষ হওয়া মাত্রই ব্রিজটি খুলে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে ব্রিজটি দিয়ে শুধু জনসাধারণ চলাচল করতে পারবে। সবধরনের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পিলার বসানোর কাজ চলছে।
সিলেটের কীনব্রীজ খোলে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চলাচল করবে না।
Share:
Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
পপুলার
আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে, নিতে নয়।
এপ্রিল ১১, ২০২৪
ঈদের দিন হামাস নেতার ছেলে ও নাতি নিহত ।
এপ্রিল ১১, ২০২৪
জিম্মি জাহাজে আব্দুল্লাহর মধ্যে ঈদের নামাজ আদায় করলেন নাবিকরা।
এপ্রিল ১১, ২০২৪