শরিকদের জন্য ৭ আসনের বেশি ছাড় নয়– ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শরিকদের জন্য ৭ আসনের বেশি ছাড় নয়– ওবায়দুল কাদের।
জোটের শরিকদের জন্য ৭টি আসনের বেশি ছাড় দেওয়া আওয়ামী লীগের জন্য সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
শরিকদের সাথে সাথে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা সবাই আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বলেন, এখানে আমরা এই সময়ে আমাদের এই এলায়েন্সটাকে যতটা রাজনৈতিক মূল্য দিচ্ছি, এখানে আসনের বিষয়টা মূখ্য না। এখানে মূখ্য হচ্ছে রাজনীতি। জঙ্গীবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এই ইলেকশন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি থেকে এই অপশক্তি কে আমাদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনে আসেনি। তারা নাশকতা করছে, কতদিন করবে? নাশকতা জনগণ সমর্থন করে না। বিএনপিকে এই নাশকতার জন্যেই তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ত করতে পারেনি।
এই সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের আন্দোলনে জনগণ ছিল? তাদের কর্মীরা ছিল? সামনের দিকে তাদের এ জনবিচ্ছিন্নতা আরও বাড়বে।
শরিকদের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিযোগিতা হউক, এখানে পক্ষপাতিত্বের কি আছে? আমরা জোর করে কারো বিজয় ছিনিয়ে আনবো না। আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না।
তিনি বলেন, আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, আমার বিরুদ্ধেও চার জন আছে। এখন কেউ যদি জিতে যায়, তাহলে তো আমাকেও হার মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যেটা আছে সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।
টিআইবির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে এখন যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন বলে দাবি করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যেমন টিআইবি… ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারপরও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেন হবে না, এ প্রশ্নের উত্তর টিআইবির কাছে পাওয়া যাবে না। তারা জেনেশুনেই এটা করছে। আমরা টিআইবির কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বুঝায়? ২৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নিচ্ছে, বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, এর অর্থটা কী? টিআইবি বিএনপির শাখা-সংগঠন। তারা একই সুরে কথা বলে।
বিএনপি নেতা মঈন খানের ভাগাভাগি নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিসের ভাগাভাগি? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেকোনো মূল্যে এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে, একটা রেকর্ড আমরা দেখাতে চাই। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ, কাজে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করায় আমাদেরও দায়িত্ব আছে।
নির্বাচনের আচরণবিধি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যেগুলোকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। আমাদের যেসব প্রার্থী প্রার্থিতা হারিয়েছে, আমরা কারও ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার কোনো চেষ্টা করিনি এবং করব না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:  এডিবির সঙ্গে ১০৩ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top