ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশা চিত্র।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশা চিত্র।

ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
জামদানি বয়নশিল্প, শীতলপাটি বয়নশিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার পর প্রায় ৬ বছরের বিরতিতে বাংলাদেশের পঞ্চম অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র এ স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বিগত ছয় বছর ধরে এই চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে আবারও নথিটি জমাদানের সুযোগ প্রদান করা হলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসাবে অভিহিত করেন। এ ছাড়াও নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, উপস্থিত মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং এ চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে তাদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন।
এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এ ধারাবাহিক সাফল্যকে সংশ্লিষ্ট মহল বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসাবে অভিহিত করেন।

আরও পড়ুন:  স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না -- ওবায়দুল কাদের।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top