বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
সংবাদের জেরে সাংবাদিক হত্যা অপচেষ্টাকারী আটক
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বেআইনি,অবৈধ, ইট ভাটার বিরুদ্ধে, নানা অনিয়ম অভিযোগে পাহাড় কাটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক আইয়ুব মিয়াজি’কে পিটিয়ে দোতলা হতে নিক্ষেপ করে গুরুতর আহত করার প্রধান ২আসামী আটক করে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৭,চট্টগ্রামের আভিযানিক দল।
আজ ১০এপ্রিল সোমবার সকালে গোপন সংবাদে
অভিযানে ঢাকা মহানগরীর কমলাপুর এলাকা হতে আসামী ১। মোঃ আলাউদ্দিন (৩৫),২। মোঃ ফারুক (২৬),কে আটক করে।
স্পর্শকাতর হওয়ায় বিষয়টি গুরুত্বের সাথে ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। হামলার ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর কমলাপুর এর সর্দারপাড়া কলোনীর একটি ব্যাচেলর মেসে থেকে আটক করে।
গত ৪এপ্রিল বিকালে স্থানীয় সাংবাদিক আইয়ুব মিয়াজি (৩৪) এর উপর দুস্কৃতিকারীরা হামলাসহ পিটিয়ে জখম করে দোতলা হতে নিক্ষেপ করে গুরুতর আহত করে। ভিকটিম আইয়ুব মিয়াজীর দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় গত মঙ্গলবার প্রকাশ্যে তার নিজ প্রতিষ্ঠানে দুবৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভিকটিম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা যায় যে,অবৈধভাবে পাহাড় কাটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরেই দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। পাহাড় কাটার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনের জেরে স্থানীয় ব্যাবসায়ী আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ ফারুক তাঁকে হুমকির একপর্যায়ে
দোহাজারী স্টেশন রোডে ভিকটিমদের কর্মস্থলে
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় প্রকাশ্যে আলাউদ্দিন,ফারুক,এক নারীসহ ১০থেকে ১২ জন ব্যক্তি হামলাসহ অতর্কিতভাবে আইয়ুব মিয়াজী’কে লাঠিসোঠা,ধারালো দা,হকস্টিক দিয়ে মারধরের একপর্যায়ে প্রাণনাশের দোতলা থেকে ফেলে গুরুতর জখম আহত করে।বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সাংবাদিককে দোতলা থেকে ফেলে দেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনার বিচার দাবি করে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে মানববন্ধন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে স্থানীয় এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানায় ২জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা করে। প্রধান দুই আসামী আলাউদ্দিন এবং ফারুক গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চরে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে হামলার সাথে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। ঘটনার পর পরই তারা আইন শৃংখলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম হতে পালিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে সর্বশেষ তারা ঢাকা মহানগরীর কমলাপুর এর টিটি পাড়া রোড এর সর্দারপাড়া কলোনীর একটি ব্যাচেলর মেসে আত্মগোপন করে এবং সেখান হতে গ্রেফতার হয়।
আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।