যানজট নিরসনে একগুচ্ছ পরামর্শ-সুজন

হাওয়া টিভি ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি

যানজট নিরসনে একগুচ্ছ পরামর্শ-সুজন

চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ ২০২৩ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যানজট নিরসনে এ পরামর্শ দেন সুজন।

এসময় সুজন বলেন চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নগরীকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শ্রেষ্ঠ যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিনের পর দিন ধরে চট্টগ্রামকে নিজের মতো করে সাজিয়ে তুলছেন। বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প অনুমোদনের মধ্য দিয়ে অতি অল্প সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামের গুরুত্ব সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। তাই চট্টগ্রামকে নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এই প্রশাসক। বিশেষ করে নগরীর আভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। কারণ চট্টগ্রাম শহরটি যদি যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা নিমজ্জিত থাকে সেক্ষেত্রে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড ম্রিয়মাণ হবে বলেও মত সুজনের। তাই এ নগরীর যানজট নিরসনে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন তিনি। এক্ষেত্রে প্রথমত- নগরীর সকল প্রবেশ মুখকে অলস গাড়ির জটলা থেকে মুক্ত করতে হবে। কেননা দেখা যাচ্ছে যে নগরীর সকল প্রবেশ মুখসমূহ বিভিন্ন বাস মালিকদের অলিখিত স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি এসব প্রবেশ মুখের রাস্তার অর্ধেকাংশ বিভিন্ন বাসের দখলে থাকে। এতে করে ঐসব এলাকাগুলো যানজটের মূল কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং পরবর্তীতে ঐ এলাকার যানজটসমূহ পর্যায়ক্রমে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তাই নগরীর যানজট নিরসনে সকল প্রবেশ মুখকে অলস গাড়ির জটলা থেকে মুক্ত করার উপর প্রয়োজনীয়তা আরোপ করেন তিনি। দ্বিতীয়ত- নগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহ যেমন- একেখান মোড়, অলংকার মোড়, সিইপিজেড মোড়, জিইসি মোড়, ২নং গেইট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, চকবাজার মোড়, নতুন ব্রীজ মোড় ও কোতোয়ালী মোড়সমূহে কোন গাড়িকে দাড়াতে না দিয়ে যানজটমুক্ত রাখা গেলে এর সুফল সারা শহরে ছড়িয়ে পড়বে। আর মোড়গুলো যদি যানজটমুক্ত রাখা যায় তাহলে যানজটও অনেকাংশে কমে আসবে। তাছাড়া এসব মোড়গুলোতে রিক্সা, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য ছোট যানবাহনগুলো যাত্রী নেওয়ার জন্য এলোপাথাড়িভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে করে রাস্তার অর্ধেকাংশ তারা দখল করে নেয়। তাই এসব যানবাহনগুলোকে শৃংখলার সাথে দাঁড় করানো গেলে মোড় ভিত্তিক যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলেও মত প্রকাশ করেন সুজন। তৃতীয়ত- বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গণপরিবহন ছাড়া নগরীতে চলাচলরত অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা। এতে করে রোজাদারগণ নিশ্চিন্তে নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ বাসায় গিয়ে ইফতার এবং তারাবী’র কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারবেন। চতুর্থত- ১৫ রমজানের পর থেকে বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গণপরিবহন ছাড়া সকল প্রকার ভারী যানবাহন চলাচলে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এসময় নগরী থেকে কোন প্রকার ভারী যানবাহন বাহিরে বের হবে না। শুধুমাত্র নগরীর বাহিরে থেকে পণ্য ভর্তি কোন যানবাহন আসলে তাদের প্রবেশাধিকার থাকবে। আর নগরী থেকে যে সমস্ত ভারী যানবাহন নগরীর বাহিরে বের হবেন তারা রাত ১০টার পর বের হতে পারবেন। এভাবে যদি পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাওয়া যায় তাহলে ঈদ শপিং কেন্দ্রিক যানজট অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং নগরবাসীও নিশ্চিন্ত মনে তাদের প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদন করতে পারবেন। তাই জনগুরুত্বসম্পন্ন এসব পরামর্শগুলোকে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে নগরবাসী স্বস্তিতে রমজান, ইফতার, তারাবী এবং শপিং এর মতো প্রয়োজনীয়ও কাজগুলো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে পুলিশকে যেহেতু রমজানে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উপর অতিরিক্ত নজর রাখতে হয় তাছাড়া তাদের লোকবলেরও সংকট আছে বিধায় সেক্ষেত্রে বিএনসিসি কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে এ শহরকে একটি যানজটমুক্ত নগরীতে পরিণত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন নগর আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

আরও পড়ুন:  মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার জন্য কাজী ইব্রাহিমের ১ বছর ৩ মাসের জেল দন্ড।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top