বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি-
ডিজিটাল-আইনে সাংবাদিক লাভলু’র মামলা প্রত্যাহার-বিএসএরএফ ও ‘র্যাক’
চট্টগ্রামে যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি,রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) সদস্য মাহবুবুল আলমলা লাভলুর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চায় বিএসএরএফ ও ‘র্যাক’।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লাবলুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন ও বিএসএরএফ। এর আগে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ,সমকাল,মা নবজমিন,যায় যায় দিন,বৈশাখী টেলিভিশন ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে কাজ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) র্যাকের সভাপতি আহম্মদ ফয়েজ ও সাধারণ সম্পাদক জেমসন মাহবুব এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান। একই সঙ্গে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক লাবলুর নামে ন্যাক্কারজনক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহার ও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তারা। পাশাপাশি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ওই বিবৃতিতে র্যাক ও বিএসএরএফ নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ ধরনের মামলা সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ওপর ভয়াবহ হুমকি স্বরূপ। স্বাধীন সাংবাদিকতা ওপর এই ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়; তাই অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো এ কালাকানুন বিলুপ্ত করে সাংবাদিক মাহবুবল আলম লাবলুকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
গত ১৪ মার্চ ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে গতকাল (২৯ মার্চ) বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলাটি দায়ের করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
একই বিবৃতিতে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বিএসএরএফ ও র্যাক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়াবহ ব্যবহার স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। অনতিবিলম্বে নিবর্তনমূলক এই আইনটি বাতিল ও প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানায় র্যাক ও বিএসএরএফ।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোন সংবাদে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান প্রেস কাউন্সিলে প্রতিকার পাবার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে তা করা হয়নি, যা গণমাধ্যমের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করেছে। সরকার বার গনমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলছে আদালত স্বাধীন সাংবাদিকতা তথ্য সংগ্রহে বাধা নয় বললেও বাস্তবতা ভিন্ন।
উল্লেখ্য্:এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আশিকুর রহমান গত বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) চকবাজার থানায় মামলা করেন।(র্যাক) সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু’র বিরুদ্ধে মামলার বাদী আশিকুর রহমানের অভিযোগ,ইউটিউব চ্যানেলে অসংখ্য ভিডিও প্রচার করে তিনি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা করেছেন।ইউটিউব চ্যানেলে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টার অভিযোগে,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।’শুদ্ধ সত্য’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও কনটেন্ট প্রচার করার কারণে।সাংবাদিক লাভলুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।