বিলেতের আয়না ডেক্স :- মৃত্যুর সময় মা মা বলে চিত্কার করেছিল
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে কৃষাঙ্গ যুবকে হত্যা করেছে। মৃত্যুর সময় মা মা বলে চিত্কার করেছিল ।যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টায়ার নিকোলসকে (২৯) মারধরের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মেমফিসের অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা তাকে লাথি, ঘুসি মারার পাশাপাশি লাঠিপেটা করছিলেন। কিন্তু তিনি এর কোনো প্রতিবাদ করেননি। ওই সময় শুধু মা মা বলে চিৎকার করে কাঁদছিলেন এক সন্তানের জনক নিকোলস। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
ভিডিও প্রকাশের আগেই ওই ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকায় পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ভয়াবহ ভিডিওটি দেখে আমি হৃদয়ের গভীরে ব্যথা অনুভব করছি। গত ৭ জানুয়ারি বেপরোয়া গাড়ি চালানোর সন্দেহে নিকোলসকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের নির্যাতনে ১০ জানুয়ারি মারা যান নিকোলস।
পুলিশের পোশাক ও খুঁটিতে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা নিকোলাসকে নির্যাতনের ১ ঘণ্টার ভিডিও থেকে চারটি ফুটেজ প্রকাশ হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা নিকোলাসকে গাড়ি থেকে টেনে নামাচ্ছেন। একজন তাকে দ্রুত নির্দেশ মানার জন্য চিৎকার করছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে নিকোলাস বলেন, আমি তো কিছু করিনি। এ সময় অপর এক পুলিশ কথা না বলে তাকে মাটিতে শুয়ে পড়তে বলেন।
একজন এ সময় তাকে গালি দিচ্ছিলেন। এক পুলিশ কর্মকর্তা চিৎকার করে তাকে গালি দিয়ে বলেন, তোমার হাত ভাঙার আগেই তুমি সেগুলো তোমার পিঠের দিকে নিয়ে যাও। তখন নিকোলাস বলেন, আপনারা বাড়াবাড়ি করছেন। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আরেক কর্মকর্তা তাকে বৈদ্যুতিক শক দেন। এর পরও তিনি উঠে দাঁড়ান এবং দৌড় দিতে সক্ষম হন।
ইউটিলিটি পোলে সংযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ নিকোলাসকে মারধর করছেন। দুজন তাকে মাটিতে চেপে ধরেন। অন্যরা তাকে লাথি-ঘুসি মারতে থাকেন। পরে একজন তার মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের না থামিয়ে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। পরে নিকোলাসকে টেনে নিয়ে তারা একটি স্কোয়াড গাড়ির সামনে বসিয়ে দেন। সে সময় একটি অ্যাম্বুলেন্সও ডাকে পুলিশ। সেটি আসতে ২০ মিনিটের বেশি সময় নেয়।