সীতাকুণ্ডে প্রথমবারের মত রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক জাহাঙ্গীর

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আবদুল মামুন, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

সীতাকুণ্ডে প্রথমবারের মত রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক জাহাঙ্গীর

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলাস্থ ফৌজদারহাট এলাকার ১০নং সলিমপুর ইউনিয়নের উত্তর সলিমপুরে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। সবুজ পাতার ভেতরে হলুদ রঙের এই ফুলকপি দেখতে সেখানে নানান শ্রেণী পেশার মানুষ ভীড় জমান।
এছাড়া সফল এই কৃষকের সাফল্য দেখে অন্যান্য কৃষক রঙিন জাতের এই ফুলকপি উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগীতায় ২০ শতক জায়গায় ফুলকপি চাষে চট্টগ্রামে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। এতে তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নতুন পদ্ধতিতে আরো ব্যাপকভাবে ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সফল কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রঙিন ফুলকপি বাজারে চাহিদা বেশি। এছাড়া সাদা রঙের ফুলকপি চেয়ে হলুদ রঙের ফুলকপির দাম ও তুলনামূলকভাবে বেশি। কম জায়গায় এই জাতের ফুলকপি চাষ করা যায়। প্রথমে আমি ২ শতকে ২৫০ বীজ দিয়ে ফুলকপি চাষাবাদ শুরু করেছি।এতে লাভের মুখ দেখাতে আস্তে আস্তে বড় পরিসরে করার চেষ্টা করছি। সফল এই কৃষক এছাড়া গরু লালন পালন করেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিব উল্লাহ বলেন, রঙিন ফুলকপি ও সাদা ফুলকপি উৎপাদন পদ্ধতি একই। এতে আলাদাভাবে কোন নিয়ম পালন করতে হয়না। তবে সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির ভিটামিন এ পরিমাণে দ্বিগুণ। আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নতুন জাতের এই ফুলকপি। তাছাড়া চট্টগ্রামে এই জাতের ফুলকপি নতুন উৎপাদন হওয়ার কারণে সবজি ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েছে।
এই জাতের ফুলকপির বীজ জামালপুর থেকে আনা হয়। প্রকৃতপক্ষে ইউরোপীয় দেশগুলোতে এই বীজ সচরাচর পাওয়া যায়। সারা দেশে এর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ব্যাপকভাবে করতে হলে ভারত থেকে এই বীজ আমদানী করা যেতে পারে। সিনজেনটা কোম্পানির মাধ্যমে এই বীজ সংগ্রহ করা যেতে পারে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সুপর্ণা বড়ুয়া বলেন, আমাদের সীতাকুণ্ডে কৃষকরা সাদা ফুলকপি চাষ করে আসছেন।
কিন্তু এই প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষাবাদ শুরু করেছেন। সাদা ফুলকপির চেয়ে দাম বেশি হওয়ার কারণে কৃষকদের কাছে হলুদ রঙের ফুলকপির চাহিদা বেশি। কৃষক জাহাঙ্গীরের সফলতায় অভিভূত হয়ে অনেকেই রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে এই জাতের ফুলকপির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফুলকপি কিনতে আসা এক পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন, এটি দেখতে ফুলের মত তরতাজা ও সুন্দর।বিষাক্ত রাসায়নিক ছাড়া এই হলুদ রঙের ফুলকপির বাজার দর দ্বিগুণ। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় আমরা কৃষক জাহাঙ্গীরের নিকট আসি।

আরও পড়ুন:  জনগণের টাকায় আর কত ভূর্তকি, দেওয়ার একটা সীমা আছে ।গ্যাস-বিদ্যুতে আর কত ভর্তুকি, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর রোববার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top