বিলেতের আয়না ডেক্স :- ফিফার শতাব্দীর সেরা খেলোয়ার ছিলেন পেলে । এক হাজার ২৮১ গোলের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন পায়ের জাদুতে।
একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনবার বিশ্বকাপ জেতা সাবেক ফরোয়ার্ড পেলে ২০০০ সালে ফিফার শতাব্দী সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে সান্তোসের মূল দলে গোলের পর ১৬ বছর বয়সে খেলেছেন ব্রাজিল জাতীয় দলে। আর ১৭ বছর বয়সে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে চার ম্যাচে ৬ গোল করে ব্রাজিলকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ। হয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপজয়ী!
তবে আধুনিক ফুটবলে সারাবিশ্বের ফুটবলারদের কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা ইউরোপে কখনো খেলা হয়নি পেলের। যদিও ইউরোপের ক্লাবগুলো বিশ্বের আনাচে-কানাচে থাকা প্রতিভা দলে ভেড়াতে চায়, কিন্তু পেলের সময়ে ঠিক এমনটি ছিল না।
তবে তাকে পেতে মরিয়া চেষ্টা করেছিল ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল। কিন্তু ১৯৬১ সালে এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো, পৃথিবী যাকে চেনে পেলে নামে, তাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ঘোষণা করেন ওই সময়ের ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জানু কুয়াদরুস। শেষ পর্যন্ত সেটিই রুখে দেয় পেলের ইউরোপিয়ান ফুটবলে পা রাখার পথ।
ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে অবশ্য বিদেশের মাটিতে খেলেছিলেন পেলে, নিউইয়র্ক কসমসে। ওখানেই ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত খেলে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ফুটবলের রাজা।