বিলেতের আয়না ডেক্স :- একমাত্র আওয়ামী লীগের মধ্যে গনতন্ত্র চর্চা হয়— ওবায়দুল কাদের।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগেই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা হয়। সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা করে। সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে নিয়মিত সম্মেলন করে অন্য কোনো দল আছে কি-না জানা নেই।’
ওবায়দুল কাদের শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকবো। পরবর্তী নির্বাচনেও জনগণের পরামর্শ নিয়ে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে চায় আওয়ামী লীগ।তিনি বলেন, ‘আই এম নট এ পারফেক্ট লিডার’। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের ভুলত্রুটি হতে পারে। বড় দলে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও কিছু থাকবে।
আওয়ামী লীগ রুলিং পার্টি, একাধারে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় কিছু সমস্যা থাকে। যেমন-যিনি নেতৃত্বে আছেন তিনি থাকতে চান আবার নতুন কেউ পদে আসার আকাঙ্খা থাকতে পারে। দুই মিলে অনেক সময় কনফ্লিক্ট তৈরি হয়ে যায়। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়।
সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, সম্মেলন মঞ্চে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, উপদেষ্ঠা পরিষদ সদস্য, এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা বসবেন। বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টটিউশনে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু বসবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলনের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। এছাড়া ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদক নির্ধারিত জায়গায় দাঁড়িয়ে পতাকা উত্তোলন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. অবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, কার্যনিবাহী সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, রিয়াজুল কবির কাওছার, সাহাবুদ্দিন ফরাজি ও আনোয়ার হোসেন ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।