অভিযোগ প্রমাণ হলে ৪০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ডেস্ক নিউজ

অভিযোগ প্রমাণ হলে ৪০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের

অভিযোগ প্রমাণ হলে দীর্ঘ ৪০ বছরের কারাদণ্ডের মুখে পড়তে পারেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি।খবর বাপসনিউজ ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দ্রোহিতাসহ চারটি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি তদন্ত কমিটি।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন তার সমর্থকরা। এরপর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান তারা। এ বিষয়টি তদন্তে গঠিত কমিটি এই হামলার পেছনে ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা পেয়েছে। তাই তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্রোহিতাসহ মোট চারটি অভিযোগে বিচার করার সুপারিশ করেছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে বিচার করা হয় এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে তার ৪০ বছরের জেল হতে পারে। এতে করে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি।

২০২০ সালের নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি জো বাইডেনকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যয়িত করা হয়েছিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাইডেনের প্রত্যয়ন ঠেকাতে তিনি দাঙ্গা উসকে দিয়েছিলেন, যা সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল।

আরও পড়ুন:  বৃটেনে বাঙালি পাড়ার নির্বাচন ২০২২

তদন্ত কমিটি ক্যাপিটল হিলের ঘটনায় ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা এবং উস্কানি নিয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস তদন্ত করে। এরপর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেন তারা। সেগুলো হলো— দ্রোহিতায় উস্কানি ও সহযোগিতা করা, সরকারি কাজে বাধা, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারিত করার চক্রান্ত এবং মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা।

কংগ্রেসের তদন্ত কমিটি এ ধরনের সুপারিশ করার পর এর বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটিকে ‘ক্যাঙ্গারু আদালত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে বিচার করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে বিচার বিভাগ। কংগ্রেসের তদন্ত কমিটির সুপারিশ পালন করতে বাধ্য নন তারা। কংগ্রেসের তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ করেছে তা পুরোটাই প্রতীকী।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভোটারদের ইচ্ছাকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে ট্রাম্প ‘একাধিক চক্রান্ত’ করেছেন। তিনি জানতেন ২০২০ সালের নির্বাচন স্বচ্ছ ছিল। তবুও তিনি এটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিলেন। সহিংসতা শুরুর আগে সরকারি কর্মকর্তা, বিচার বিভাগ এবং তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্টকে দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে দাঙ্গা উসকে দেন তিনি।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top