বিলেতের আয়না ডেক্স :- নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
জামিন হয়নি মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার আদালতে জামিন শুনানিতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তাঁদের আইনজীবীরা বলেন, রাজধানীর পল্টন থানার যে মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই মামলার এজাহারে তাঁদের নাম নেই। দুজনই বয়স্ক ও অসুস্থ। এই মামলায় এর আগে জামিন পেয়েছেন বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া। যেকোনো বিবেচনায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস জামিন পেতে পারেন।
অপর দিকে বিএনপি দুই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের যুক্তি, জামিন পেলে মামলার তদন্ত বিঘ্নিত হবে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
এর আগে গত সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির তিন শতাধিক নেতা–কর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না।
‘ওপরের নির্দেশে’ ওই দুই নেতার বাসায় ৮ ডিসেম্বর (গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে) অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেছিল ডিবি।
৭ ডিসেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের চার মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৮৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
অন্যদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুজনকে (আমানউল্লাহ ও আবদুল কাদের) জামিন দেন আদালত। কারাগারে পাঠানো নেতাদের মধ্যে রয়েছে রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির, শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনপি বলে আসছে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় তাদের গণসমাবেশের যে কর্মসূচি ছিল, মূলত সেটি বানচাল করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করেছে।