বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন

আওয়ামী লীগ পুলিশের বন্ধুক পিস্তল দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ৯টি বিভাগীয় শহরে শান্তিপূণ গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে বিএনপির সমাবেশে স্রোতের মতো আসছে। এতে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ। এখন তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন ভয় পাচ্ছে। এই বুঝি তাদের ক্ষমতা গেল! ১০ই ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের ভয়ের শেষ নেই। কারণ তারা এই দেশে এমন কিছু কাজ করেছে যে নিজেদের (আওয়ামী লীগের) ওপর কোনো আস্থা নেই।

শনিবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপির গণসমাবেশে এসব কথা বলেন ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে এই বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি।
আমরা নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই।
কিন্তু তারা তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘুম হারাম করে ফেলেছে। তারা আতঙ্কে ভুগছে। আমরা তো নয়া পল্টনে অসংখ্য সমাবেশ করেছি, যেখানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। এখন তারা জঙ্গি নাটক শুরু করেছে।  নিজেদের প্রয়োজনে জঙ্গি বানায়। নিজেরাই বাস পুড়িয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করে। আর দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ। গত ১৪/১৫ বছরে আওয়ামী লীগ লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। সব সেক্টরে দুর্নীতি করে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। নিজেরা সম্পদ লুট করে পাহাড় বানাচ্ছে আর সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। করোনা মহামারীর এই সময়ে দেশে ১২ হাজার মানুষ কোটিপতি হয়েছেন। অন্যদিকে সাড়ে তিন কোটি মানুষ গরীব থেকে আরো গরীব হয়েছে। দেশের মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। সব নিজ দল ও বিত্তশালীদের উন্নয়ন হয়েছে।  ইসলামী ব্যাংকের টাকা নামে বেনামে ঋণের নামে লুট করছে। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। যে দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিদিন হত্যা করা হচ্ছে, সেই দেশের সরকার প্রতিদিন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী খারাপ কাজ করলেও সমালোচনা করা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্র একটাই- যেমন করেই হোক ক্ষমতায় বসে থাকা।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। যেই সরকার নতুন স্বপ্ন দেখাবে। এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং নিহত সহযোদ্ধাদের রক্তের বদলা নিতে হলে আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

আরও পড়ুন:  ১০০সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন-- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top