বিলেতের আয়না ডেক্স :- জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জন্য বিশেষ তহবিল।
যেসব দরিদ্র দেশ বিভিন্ন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা করার জন্য একটি বিশেষ তহবিল তৈরিতে সম্মত হয়েছে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলো।
রবিবার (২০ নভেম্বর) সকালে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। এর আগে শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে মিসরের শার্ম-আল-শেখে প্রেসিডেন্ট সামি শৌকরি চুক্তি সইয়ের ঘোষণায় সম্মেলন কক্ষ করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে। খবর বিবিসির।
রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতভর আলোচনার পর কপ-২৭ কর্তৃপক্ষ চুক্তির একটি খসড়া প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে তারা এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেরও ঘোষণা দিয়েছে; যেখানে জাতিসংঘ সম্মেলনে আলোচনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে। এই অধিবেশনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে মেটাতে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এই তহবিলের বিষয়ে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আগামী বছর পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়েছে। সেসময় একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি’ দেশগুলোর জন্য কিছু সুপারিশ দেবে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৮ সম্মেলনে আলোচিত হবে।
এই সুপারিশগুলোর মধ্যে থাকবে ‘তহবিলের উৎস চিহ্নিত করা ও একে সম্প্রসারণ করা’, যার মাধ্যমে জানা যাবে কোন কোন দেশ এই তহবিল তৈরি করতে মূল ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, বিবিসি লিখেছে, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ টার্মটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের তাৎক্ষণিক প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে সহায়তায় একটি তহবিলের প্রয়োজনীয়তার দিকেই ইঙ্গিত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখায় শতকের পর শতক ক্ষতিপূরণ টানতে হতে পারেÑ এই ভয় থেকেই ধনী দেশগুলো ৩০ বছর ধরে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনায় বাধা দিয়ে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা, নাইজেরিয়া ও অন্যত্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিস্থিতি বদলে যায়, শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুটি মিসরের সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।