বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামীকাল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।
বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে এতে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সমাবর্তন উপলক্ষে গত ১৬ই অক্টোবর থেকেই ক্যাম্পাসের ৭টি পয়েন্টে কালো গাউন আর টুপিসহ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
সেগুলো গায়ে জড়িয়ে প্রফুল্ল চিত্তে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্যাম্পাস এলাকা, নিজ নিজ ডিপার্টমেন্ট ঘুরে ঘুরে স্মৃতিচারণ করছেন শিক্ষার্থীরা। অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাস্কর্য, টিএসসি, ভিসি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে ছবি তুলতেও দেখা যায়। গত দুইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাস সমাবর্তন প্রত্যাশী এসব শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে অংশ নেবেন ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক।
এদের মধ্যে ২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকতে পারবেন। এ ছাড়া অধিভুক্ত ৭ কলেজের ৭ হাজার ৭৯৬ জন সমাবর্তনে অংশ নেবেন। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের মাঠ থেকে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরোল। ঢাবি’র শিক্ষার্থী ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমাবর্তনে অংশ নেবেন অধিভুক্ত ৭ কলেজ এবং ঢাবি’র উপাদানকল্পে পরিচালিত অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা এবং দুপুর ১২টায় সমাবর্তন শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সুন্দর ও সফল সমাবর্তন আয়োজনের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে ভিসি বলেন, সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমাবর্তনের আয়োজন এগিয়ে চলছে। এটি খুবই আনন্দের যে এই মুহূর্তে আমরা বেশ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সহকর্মী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষসহ সবাই এখানে উপস্থিত আছি। অনেক শিক্ষার্থীরাও এখানে রয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো দৃষ্টান্ত। যার মাধ্যমে বুঝতে পারছি আয়োজন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে এবং সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ঘটেছে। এবারের সমাবর্তনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ১৫৩টি স্বর্ণপদক, ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেয়া হবে।