দুর্ভিক্ষ আসিতেছে এটা সত্য- গবেষনা প্রতিষ্ঠান সিপিডি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দুর্ভিক্ষ আসিতেছে এটা সত্য- গবেষনা প্রতিষ্ঠান সিপিডি

সারা বিশ্বে ঘটতে যাওয়া খাদ্য সংকটের গতি-প্রকৃতি নির্ভর করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ওপর। চলমান এ যুদ্ধ শুধু খাদ্য ও পণ্য সরবরাহকেই সংকটে ফেলেনি, কৃষি উৎপাদনও ব্যাহত করেছে। এ দুর্যোগের সমাপ্তি নির্ভর করছে এই যুদ্ধের সমাধানের ওপর।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) কার্যালয়ে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব বলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, আন্তর্জাকিত খাদ্য সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশন বলছে, দুর্ভিক্ষ আসছে; বিষয়টি সত্য। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি জলবায়ুর ভিন্ন রূপ হিসেবে বন্যা, খরা বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, কৃষি উৎপাদনে জ্বালানি ও সার ব্যবহার প্রয়োজন। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এসব পণ্যের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে পণ্য সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় কৃষি উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে। খাদ্য সংকট মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ সাত ধরনের সংকটে পড়েছে বলে মনে করে সিপিডি। সেগুলো হলোÑ রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, জ্বালানি সংকট, ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য সংকট, কোভিড ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সংকটগুলোর মধ্যে ডলার, জ্বালানি, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সংকটের কারণে অন্য সংকটগুলো ঘনীভূত হচ্ছে। সার্বিকভাবে ওই সাতটি সংকট আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসব সংকট সমাধানে সুপারিশ দিয়েছে সংস্থাটি। মূল্যস্ফীতির সমাধানে দেওয়া সুপারিশগুলো হলো নিত্যপণ্য আমদানিতে শুল্ক ও কর কমানো, নতুন ভোগ বাস্কেট করা, প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করা, বাজারে মনোপলি নিয়ন্ত্রণ করা।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মূল্যস্ফীতির সমাধানে এখনই সব শিল্পে ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া ব্যক্তি খাতেও যারা কাজ করছেন, তাদের জীবনমানে এত ধস নেমেছে যে, এ আয় দিয়ে তারা চলতে পারছেন না। তাদের বেতনও পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় চার সদস্যের একটি পরিবারের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যসহ সার্বিক খরচ ছিল ১৭ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবরের খাদ্যপণ্যের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ২২ হাজার ৪২১ টাকা।
অন্যদিকে, যদি মাছ-মাংস বাদ দিয়ে কমপ্রোমাইজড ডায়েটের হিসাবে চার সদস্যের পরিবারের ন্যূনতম খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৯ টাকায়, যা ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ছিল ৬ হাজার ৫৪১ টাকা।
বিফ্রিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন:  বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের সন্ধান।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top