রাজধানী ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের মামলা ও গণগ্রেফতার

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রাজধানী ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের মামলা ও গণগ্রেফতার

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেকটা একই ধরনের অভিযোগে রাজনৈতিক মামলায় প্রায় প্রতিদিনই শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।


এর মধ্যে সিলেট থেকে আসা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, তাজুল আলম, সুমন আহমদ, আলী হোসেন রানা ও সফিক মিয়াকেও আসামি করা হয়েছে।

গত চার থেকে পাঁচ দিনে প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় চার থেকে পাঁচশ’ নেতাকর্মী আটক হচ্ছেন। আটককৃতদের মুক্ত করার জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করা হচ্ছে বলে বিএনপির ল’ সেল থেকে জানানো হয়েছে। তবে প্রায় সব বিএনপি নেতাকর্মীকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে এবং তাদের অনেককে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ১৭৬টি গায়েবি বা রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ল’ সেল থেকে জানানো হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে দেয়া হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আটককৃত অধিকাংশ বিএনপি নেতাকর্মীকে আগের মামলাতে অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এবং এফআইআরেও নাম নেই। এ ছাড়া বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলায় একের পর এক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে বলে বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন।
তারা জানান, গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর, পল্টন, মতিঝিল ও ডেমরা থেকে আটক প্রায় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আইনজীবীরা তাদের জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠান। এ ছাড়া গত সোমবার ৪২৭ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক হওয়া শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। বিএনপির ল’ সেল থেকে নিযুক্ত প্রায় ২০ থেকে ২২ জন আইনজীবী তাদের মুক্ত করার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করছেন।
যুবদলের সাবেক সভাপতিসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা : রমনা থানায় একটি নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরবসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল মামলার হাজিরার দিন ধার্য ছিল। এই দিন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন আদালতে হাজিরা দেন। অন্য দিকে সাইফুল ইসলাম নীরবসহ বাকিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিশেষ আদালতে রায় শুনানিতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় বিএনপির প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে ও ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করেন তারা। এতে কিছু পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় ওই দিন রমনা থানার উপ-পরিদর্শক এস এম খায়রুল বাশার বাদি হয়ে ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
এ দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের নামে গাড়ি ভাঙচুর, ট্রাফিক বক্সে হামলাসহ নাশকতার অভিযোগে রমনা থানায় করা মামলা হাইকোর্টে স্থগিত আছে মর্মে আদেশ দাখিল করেছেন তার আইনজীবী। তাই মৌখিকভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেয়া হলেও তা স্থগিত থাকছে। এর আগে রমনা থানায় একটি নাশকতার মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ঢাকা বিভাগে প্রায় প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ’ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং গত চার বা পাঁচ দিনে ২ হাজারের মতো বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে হাজির করলে আমাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করছেন। তবে সবারই জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। কাউকে কাউকে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই এবং এফআইআরেও নাম নেই। এ ছাড়া বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলায় একের পর এক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে এ পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৭৬টি গায়েবি বা রাজনৈতিক মামলা করা হয়েছে। যেগুলোর আইনগত ভিত্তি নেই।
হাইকোর্টে ৪৩৮ বিএনপি নেতাকর্মীর আগাম জামিন : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, মেহেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, পাবনা, বরিশাল ও নেত্রকোনা জেলায় দায়েরকৃত পৃথক রাজনৈতিক মামলায় ৪৩৮ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো: বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আমিনুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিএনপি নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত প্রত্যেককে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময়ের পর তাদেরকে নিজ নিজ দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মো: কামাল হোসেন, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সগীর হোসেন লিওন, মাহবুবুর রহমান খান প্রমুখ। তাদেরকে সহায়তা করেন আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী, সালমা সুলতানা, গোলাম আক্তার জাকির, মো: মাকসুদ উল্লাহ, সাগর হোসেন, সাইদুর রহমান মাইনুল, কে আর খান পাঠান, আকতার হোসেন, মো: আব্দুল কাইয়ুম, আনিসুর রহমান রায়হান, রুকনুজ্জামান সুজা, নুরে আলম সিদ্দিকী, শামসুল ইসলাম মুকুল, উজ্জ্বল হোসেন, কনক রাসেল প্রমুখ।
এ বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা প্রত্যেকটা মামলা মিথ্যা, বানোয়াট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মামলার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। আমরা আদালতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে আগাম জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন দেন।
বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২৮৫ : এ দিকে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ২৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে গতকাল সন্ধ্যায় ২৮৫ জনকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ২৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত সোমবার ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যশোরে বিএনপি-জামায়াতের আরো ১২ নেতাকর্মী আটক
যশোর অফিস জানায়, নাশকতা মামলায় যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আরো ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে রয়েছে কোতোয়ালি থানার মামলায় তিনজন, বাঘারপাড়ায় তিনজন, মণিরামপুর থানায় পাঁচজন ও অভয়নগরে একজন।
আদালত সূত্র জানায়, কোতোয়ালি থানায় আটকরা হলেন- চাঁচড়া পূর্বপাড়ার শফিউর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান আশা, ইছালী যোগীপাড়ার মৃত আফসারের ছেলে জসিম উদ্দীন ও ঘুরুলিয়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে আক্কাস আলী।
বাঘারপাড়ায় আটকরা হলেন- ভদ্রডাঙ্গা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে বোরহান উদ্দীন, করিমপুরের আব্বাস আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ও বরভাগ গ্রামের তফেল উদ্দিনের ছেলে শফি উদ্দিন।
মণিরামপুর থানায় আটকরা হলেন- চান্দুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, মণিরামপুরের ঝাঁপা গ্রামের মাহাবুবুর রহমান, একই গ্রামের মশিয়ার রহমান ও দুর্গাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস ও অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের আসলাম সরদার। আসামিদের মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএনপির অভিযোগ এ দিকে ৬ দিনে বিএনপির ১৪ শ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়া পল্টনে গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ কয়েকজনের গাড়ি পুলিশ বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকে আটক করে নিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ গাড়ি ফেরত না দিয়ে পুলিশ তাদেরকে হয়রানি করে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় যুবদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের মিরপুরের বাসায় ডিবি পুলিশ হানা দিয়ে আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুরসহ বাসার লোকজনের সাথে দুর্ব্যবহার করে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুববিষয়ক সহসম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ প্রমুখ উপি স্থত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ : ওয়ারী থানাধীন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো: মুনির হোসেন, শ্রমিক দল নেতা মো: সেতু সূত্রাপুর থানা শ্রমিক দল নেতা মো: ইব্রাহিম, আলমগীর হোসেন, পল্টন থানা শ্রমিক দল নেতা আবু তাহের, জামাল ফরাজী, কলাবাগান থানা শ্রমিক দল নেতা রাসেল, ইসমাইল, শাহজাহানপুর থানা শ্রমিক দল নেতা মিন্টু, সাঈদ পাটোয়ারী রুবেল, নুরুল হক, যাত্রাবাড়ী থানা শ্রমিক দল নেতা আবু বক্কর, মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দল নেতা কাউসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিউমার্কেট থানাধীন ইউনিট বিএনপির সহ-সভাপতি সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডেমরা থানার ৬৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ডা: রফিক, বংশাল থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল করিম, জাহাঙ্গীর আলম দীপু; সূত্রাপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান ভূইয়া, মো: ফরিদ, কাজী মাহমুদুর রহমান রাকিব, কদমতলী থানার ৫৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস, গিয়াস উদ্দিন, বাবুল মিয়া, ঈমন, মো: জসিম, ৬৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম; ডেমরা থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আরিফ মোল্লা ও যুবদল নেতা খোকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর : উত্তরা পূর্ব থানার যুবদল নেতা- সিফাত ইসলাম দীপু সিকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পল্লবী থানা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ফারুক হোসেন তালুকদার; দক্ষিণখান থানার ৫০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ভাটারা থানার ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, শ্রমিকদল নেতা মো: রহিম; কাফরুল থানার ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিক, মিরপুর থানার ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন; রামপুরা থানার ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বাবুল, ৯৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা লোকমান হোসেন; উত্তরখান থানা ছাত্রদল নেতা বিপ্লব; ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম; উত্তরখান থানা বিএনপি নেতা হাসান খান, আফতাব উদ্দীন জুয়েল, সালাম মৃধা; শেরেবাংলা নগর থানা বিএনপি নেতা সবুর খানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিমানবন্দর থানা বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকা জেলা : কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিন্টু, শ্রমিক দল নেতা নুর হোসেন, যুবদল নেতা লিটন হোসেন আজ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা হাসমত উল্লাহ নবী, মো: খোরশেদ, হেলাল উদ্দিনকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিন্টু, শ্রমিক দল নেতা নুর হোসেন, যুবদল নেতা লিটন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাভার পৌর বিএনপি নেতা আক্কাস আলী, মো: সোহরাব হোসেন, মো: হাবিবুর রহমান হাবিব, মো: হাসান, আরমান হোসেন, সাভার থানা বিএনপি নেতা মো: মোশারফ হোসেন, যুবদল নেতা কবির হোসেন, ছাত্রদল নেতা খোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধামরাই থানা বিএনপি নেতা মো: মফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মো: রুস্তম আলী, মো: নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধামরাই থানা ও পৌর বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন- যথাক্রমে মো: মফিকুল ইসলাম-সাংগঠনিক সম্পাদক, গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি, আনিসুর রহমান-সাবেক সাধারণ সম্পাদক, গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি, মো: রুস্তম আলী-সাধারণ সম্পাদক, সোমবাগ ইউনিয়ন বিএনপি, মো: নুরুল ইসলাম-সাংগঠনিক সম্পাদক, কুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি।
কৃষকদল : মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম পিন্টু, গজারিয়া উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মাজেদ মেম্বার, সদস্যসচিব তোফাজ্জেল হোসেন, ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ ও সদস্যসচিব জহুরল ইসলাম জহির, ঢাকা মহানগর কৃষকদল নেতা মেরাজুল ইসলাম বাবুল, দানেস মিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মুগদা থানার ৭২ নং ওয়ার্ড কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোধ ফখরুলকে গতকাল ০৫.১২.২০২২ রাত ১০ নিজ বাসা হতে এবং ঢাকা দক্ষিণ কদমতলী থানার কৃষকদল নেতা শহিদুল ইসলাম মৃধাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের বাসায় গতকাল ধানমণ্ডি থানা পুলিশ অভিযান চালায়। আব্দুল হাইকে না পেয়ে তার ছেলেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের গ্রেফতার নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন মো: জহিরুল ইসলাম বাদশা, মো: শহীদুল ইসলাম কাড়াল, মোহাম্মদ আলী, অপু মৃধা, মো; রাকিবুল হাসান, শেখ মজিবর রহমান, জিয়া উদ্দিন খান ওরফে আবু জাফর, মো: আকাশ খান, স্বপন পাইক, মো: বাবুল, মো: আক্তার হোসেন, মো: মতি ভূঁইয়া, মো: খলিল শেখ, শাহীন রানা গ্রেফতার এবং তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা : সোনারগাঁও থানাধীন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মেহেদী হাসান নাঈমকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়া শেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান ভুঁইয়ার বাড়িসহ তার শ^শুরবাড়িতে পুলিশ তল্লাশির নামে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আরিফ এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা ইমরান হোসেন বাবু, অরুণ দেওয়ান, আসলাম, স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা বরগুনা জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফয়জুল মালেক সজিব এবং যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলা সদর থানা বিএনপি নেতা হেকমত আলী আকন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা না’গঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি কাজি আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা ইমরান হোসেন বাবু, অরুণ দেওয়ান, আসলাম, স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানকে বাড়িতে না পেয়ে তার ভাগ্নিজামাই জাহাঙ্গীর হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
সোনারগাঁও থানা যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতা মো: মাহিন কবির, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফারুক ভূইয়া ও বাদল ভূইয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া বন্দর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খন্দকারকে বাড়িতে না পেয়ে তার ভাই ওয়াদুদ খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেলা : ভেড়ামারা থানা যুবদল নেতা টোকন ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, খিলগাঁও থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রওশন আলী, গাজীপুর সদর থানা মৎস্যজীবী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হেকমত আলী এবং ফতুল্লাহ থানা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছলিম উল্লাহ হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:  কাতার বিশ্বকাপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকলো ইরান।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top