বিলেতের আয়না ডেক্স :- ঈদের দিন হামাস নেতার ছেলে ও নাতি নিহত ।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আজ অবরুদ্ধ গাজায় পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়। ভাঙা মসজিদের প্রায় ধ্বংপ্রাপ্ত মিম্বরে চোখের জলে ঈদের নামাজ পড়ে অসহায় মানুষগুলো। তাদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে যায়। এমন কোনো মানুষ নেই গাজায় যিনি স্বজন হারা হয়নি। আজ ঈদের দিন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংগঠন হামাসের সর্বোচ্চ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলেকে হত্যা করে দখলদার ইসরাইলী বাহিনী।
জানা যায়, ফিলিস্তিনে আজ বুধবার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এ দিনটিতেই ইসরায়েলের হামলায় হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও হামলায় তার নাতি-নাতিও প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা সাবাব নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। মৃত্যুর বিষয়টি আল জাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন ঈসমাইল হানিয়া নিজেই।
বুধবার কাতারে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে তিনি জানান, আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন গাজার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে আমার ছেলেদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি হামলায় কয়েকজন নাতি-নাতনিসহ তার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মোহাম্মদ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি তিনি। ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তার ছেলেরা। ওই সময় হামলা চালানো হয়। চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
ইসমাইল হানিয়া বলেন, শহীদদের রক্ত ও আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, ভবিষ্যৎ তৈরি করি। আমরা আমাদের মানুষ এবং জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তির পথ তৈরি করি। নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে হামাসকে থামানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, কোনো সন্দেহ নেই এই শত্রুরা প্রতিশোধ, হত্যা এবং রক্তপাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং তারা কোনো আইন মানে না।
হামাস প্রধান জানান, তার ছেলেদের হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে না এবং হামাস যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে একটুও সরে আসবে না। যদি তারা (ইসরায়েল) মনে করে আমাদের সন্তানদের হত্যা করার মাধ্যমে এই মুহূর্তে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে, তাহলে তারা ভ্রান্তিতে আছে। ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান। সূত্র : আলজাজিরা।