দুই কোটি টাকার মানহানি মামলা করলেন সিলেটি নাট্যাভিনেতা বেলাল আহমেদ মুরাদ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দুই কোটি টাকার মানহানি মামলা করলেন সিলেটি নাট্যাভিনেতা বেলাল আহমেদ মুরাদ।
দুই কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেছেন সিলেটি আঞ্চলিক নাটকের অভিনেতা ও সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ‘চাকরিচ্যুত’ নকলনবিশ বেলাল আহমদ মুরাদ। অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জোরপূর্বক চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) মো. সুমন ভূইয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় সিলেট জেলা রেজিস্ট্রার মুনসী মোকলেছুর রহমান, সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার (বর্তমানে ঢাকা সদর রেকর্ড রুমে কর্মরত) মাহবুবুর রহমান, অফিস সহকারী আব্দুল মালিক, মোহরার আতিকুর রহমানসহ আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় মুরাদ উল্লেখ করেন- তিনি ২০০৫ সালে সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নকলনবিশ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি চলতি বছরের ১০ মে মাসে নকলনবিশ এসোসিয়েশন সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি অন্যায় ও ঘুষবাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ায় ও তার কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে আতিকুর রহমান সিন্ডিকেট তাকে চাকরিচ্যুত করতে উঠেপড়ে লাগে। মুরাদ অফিসে নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও তাকে বালাম বই সরবরাহ করা হয় না। কিন্তু পরবর্তীতে দেখানো হয় তিনি কাজ করেননি।
মামলায় তিনি আরও উল্লেখ করেন- নকলনবিশরা কাজ অনুপাতে সম্মানি পান। কাজ না করলে সম্মানি পান না। এতে করে সরকারের কোনো প্রকার আর্থিক ক্ষতির সুযোগ নেই। অথচ ফরিদুর রহমান নামের পরিচয়-ঠিকানাহীন এক উড়োচিঠির সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যদিও তিনি পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তবু উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে মুরাদকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সর্বোপরি সেই উড়োচিঠির তদন্তের ফলাফল অফিসে আসার আগেই বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে পৌঁছে দিয়ে তা প্রকাশের ব্যবস্থা করে একটি কুচক্রি মহল বেলাল আহমেদ মুরাদকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন।
মুরাদ বলেন- আতিক সিন্ডিকেটের কাছে সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত অনেক নারী কর্মরত ও সাধারণ নকলনবিশ জিম্মি। কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই ওদেরকে নানাভাবে হয়রানি ও বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে শায়েস্তা করে ওই সিন্ডিকেটের অনুগত করা হয়। আর বেলাল আহমেদ মুরাদকে অনুগত করতে না পেরেই তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়িত্ব থেকে জোরপূর্বক অব্যাহতি দিয়েছে।
এর আগে ১ নভেম্বর এ চক্রের বিরুদ্ধে নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানান বেলাল আহমদ মুরাদ জানান।

আরও পড়ুন:  সিলেটের কৃতি সন্তান নাদেলকে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন'র অভিনন্দন

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top