বিলেতের আয়না :- শহিদুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি
লন্ডনে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনার আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রাইটস অব দ্যা পিপল এর উদ্যোগে গত ১১ই ডিসেম্বর লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ ও সংগঠনটির সভাপতি আসাদুজ্জামান সাফির সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম, যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মাহী আরমান রফিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকা, ইউকের নির্বাহি সম্পাদক অলী উল্লাহ নোমান। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম শিপার, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই, ইউকের সভাপতি মুসলিম খান।
উক্ত আলোকচিত্র অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাহী আরমান রফিক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহী আরমান রফিক বলেন, সরকার হবে জনসাধারন কর্তৃক নির্বাচিত, জনসাধারনের জন্য নিয়োজিত, সেই সরকার বাংলাদেশ নেই। ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ১৯৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, যা সম্পূর্ন অমানবিক এবং মানবাধিকার সুস্পষ্ঠ লঙ্গন। সরকারের নির্যাতন থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না বলে তিনি বলেন, এই বছর এখন পর্যন্ত একজনকে হত্যা এবং ৫৫জন সাংবাধিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আশিকুর রহমান আশিক বলেন, আমেরিকাকে বাংলাদেশ মানবাধিকার শেখাবে রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্য জাতির জন্য হাস্যকর উল্লেখ করে তিনি তার পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি তার বক্তব্যে ইলিয়াল আলীসহ গুম হওয়া সকল নেতৃবৃন্দের সন্ধান দাবি করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অলী উল্লাহ নোমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সময় স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে ছিলো সাম্য, সামাজিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিন্ত আজকে বাংলাদেশে এই তিনটির একটিও । আজকে বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলটাকে একটি কারাগারে পরিনত করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতন এবং পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার যা মানবাধিকারের চরম লঙ্গন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নির্যাতনকে গাজার সাথে তুলনা করে এর পরিত্রানের জন্য সবাইকে আন্দোলনে নামার আহবান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম মাসুদ, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন, সহ-সাধারন সম্পাদক রোহান তারিক,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কাওছার আহমেদ, আবু কায়েস, আব্দুল্লাহ নাইম, মনসুরুল হাসান জাকারিয়া, রফিক আহমেদ, মিনহাজ উদ্দিন শিবলু, সালমান মনসুর, আব্দুল বাছির, সালমান মনসুর, রাদেল আহমেদ, আফজাল হোসাইন সাকিব, জাহেদ হুসেন, এনামুল হক সাব্বির, এম এম ইয়াজদিন, রায়হান উদ্দিন, কাওসার আহমেদ রিফাত, জসিম উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, জাবের চৌধুরী, মাহফুজুর রাহমান খান, শেখ আশরাদুজ্জামান, মুক্তাদির আহমদ, তোফায়েল আহমদ, আব্দুল হালিম,জাহেদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম জুবেল, আব্দুল হাদি, তারেক আহমদ, আবুল কালাম আজাদ, সুহেল আহমদ, দিলোয়ার করিম সাজু, তওকির হাসান তামিম,শাহ আলম, আশরাফুল আলম, শাহ মাহমুদুল হাবিব ইমন, আব্দুল কবির, আবুল কালাম আজাদ লস্কর, ঈসা মোহাম্মদ,জবা আক্তার শুভা, সৈয়দা রিপা বেগম, জুয়েল আহমদ, রিজভী উদ্দিন আহমেদ, রুবেল আহমেদ, সারজুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মতিউর রহমান মামুনসহ প্রমুখ।