বিলেতের আয়না :- উৎফল বড়ুয়া, সিলেট
বিজয়ের মাসের প্রথম দিন “বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চলের মানবিক কার্যক্রম”
বিজয়ের মাসের প্রথম দিন শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল সন্মানিত উপদেষ্টা অধ্যাপক বরন কুমার চৌধুরী, সদস্য স্মরণ কুমার চৌধুরী ও কাবেরী চৌধুরী তাদের পরম পূজ্য পিতা প্রয়াত দিলীপ কুমার চৌধুরীর নির্বাণ সুখ কামনায়,মমতাময়ী মাতা অর্চনা চৌধুরীর নিরোগ ও দীর্ঘ জীবন কামনায় ভিক্ষু সংঘের পিন্ড দান ও সিলেট মহানগরীর শেখঘাট, ঘাসিটোলা, কলাপাড়া ও নয়াবাজার এলাকার কিছু অসহায় মানুষের মাঝে মানবিক উপহার বিতরণ করা হয়। সকালে অধ্যাপক বরন কুমার চৌধুরীর সিলেটের বাসায় ভিক্ষু সংঘের পিন্ড দান বিশ্বশান্তি কামনায় ত্রিপিটক থেকে মঙ্গলসূত্র পাঠ করেন সিলেট বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত মহানাম ভিক্ষু।পরে বিকাল ৩ ঘটিকায় সিলেট শেখঘাটস্থ শুভেচ্ছা-২৫৫ ডাকবাংলো রোড় বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল’র কার্যালয় থেকে মানবিক বিতরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল’র সন্মানিত উপদেষ্টা বরনময় চাকমা।
উক্ত মহতি আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল’র সন্মানিত উপদেষ্টা সাধন কুমার চাকমা, তপন কান্তি বড়ুয়া মান্না, বরন কুমার চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা উৎফল বড়ুয়া, সভাপতি লিটন বড়ুয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি অংশু মারমা, সহ সভাপতি শিমুল মুৎসুদ্দী, সাধারন সম্পাদক দিলু বড়ুয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রমা বড়ুয়া, রত্না বড়ুয়া, প্রকাশনা সম্পাদক তমাল বড়ুয়া, ক্রিড়া সম্পাদক সুজন বড়ুয়া সদস্য টুম্পা বড়ুয়া, শেলু বড়ুয়া, টিনা বড়ুয়া, অয়ন বড়ুয়া সপ্তদীপা চৌধুরী, সেতু বড়ুয়া মুক্তা, সীমান্ত বড়ুয়া জয়,আপন বড়ুয়া,পূর্ণতা বড়ুয়া প্রমূখ।
উক্ত মানবিক কার্যক্রমে অধ্যাপক বরন কুমার চৌধুরীর অর্থায়নে বেশ কিছু সংখ্যক অসহায়, নি:সন্তান ও প্রতিবন্ধিদের চাউল, ডাল, তেল, লবন, আলু, পেয়াজ মানবিক উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: সমগ্র বাংলাদেশের (পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তান) এ বসবাসকারী গৌতম বুদ্ধের সকল অনুসারী জনগোষ্ঠীকে, বিশেষ করে বৌদ্ধ যুবকদের এক সূতায় বাঁধার একটি মহান ঐক্য-প্রত্যাশী উদ্যোগের অংশ হিসেবে “পাকিস্তান বুড্ডিস্ট ইয়ুথ ফেডারেশন” ১৯৬৭ সনে জন্ম নেয়।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে (১৯৭১ পরবর্তী সময়ে) রাষ্ট্রীয় পরিচয় পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে এর নাম পরিবর্তন করা হয়, এবং এই সংগঠনের নাম হয় “বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ (বাবৌযুপ)”।