জাতীয় সংসদে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন।প্রথম আলো ও গ্রামীণ ব্যাংকের তীব্র সমালোচনা। প্রধানমন্ত্রীর

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় সংসদে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন।প্রথম আলো ও গ্রামীণ ব্যাংকের তীব্র সমালোচনা। প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি শিশুর মুখ দিয়ে মিথ্যা বলানো, ভাত-মাংসের স্বাধীনতা চাই। একটি সাত বছরের শিশুকে দিয়ে বলানো, তার হাতে দশটা টাকা তুলে দেওয়া এবং তার কথা রেকর্ড করে সেটি প্রচার করা স্বনামধন্য এক পত্রিকার নাম প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু।
সোমবার জাতীয় সংসদে সংসদের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনীত কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি এটা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি যে, এরা এদেশে কখনো স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না। ২০০৭ সালে যখন ইমার্জেন্সি হয় তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদা-জল খেয়ে নেমে গেল।
তার সঙ্গে আছে একজন সুদখোর।
তিনি বলেন, যে বিনিয়োগ করে আমেরিকায়। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞেস করে না যে গ্রামীণ ব্যাংক, এটাতো একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলতো যে এমডি।
সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেল, যে আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করে, বিনিয়োগ করে। দেশে-বিদেশে করা এই বিনিয়োগের অর্থ কোথা থেকে আসে? এটা কি তাকে কখনো জিজ্ঞেস করেছে? জিজ্ঞেস করেনি। তাদের কাছ থেকে দুর্নীতির কথা শুনতে হয়। এদের কাছে মানবতার কথা শুনতে হয়।
‘যারা গরিবের রক্ত চোষা, যারা গরিবের টাকা পাচার করে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়, আর এসব লোক এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসে কিছুই নাকি করেনি। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং বিএনপির আমলে কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার তুলনামূলক চিত্র বর্ণনা করেন।

আরও পড়ুন:  জনসভার আড়ালে জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়া হবে ।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top