বিএনপির ১০ দফা অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র — হাসানুল হক ইনু

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপির ১০ দফা অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র — হাসানুল হক ইনু
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দেওয়ার প্রস্তাব ও জঙ্গি সরকার কায়েমের চক্রান্ত। একইভাবে বিএনপির ১০ দফাকে দেশে অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে রাতদিন কাজ করছেন তখন বিএনপি-জামায়াত সহ দেশের কিছু রাজনৈতিক দল দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথে কাঁটা ছড়াচ্ছে। বিএনপি যে ১০ দফা, ২৭ দফা দিয়েছে সেই দফার মধ্যে লুকিয়ে আছে গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। বিএনপির ১০ ও ২৭ দফা হচ্ছে অস্বাভাবিক সরকার আনা ও যথাসময়ে নির্বাচন বন্ধ করার ষড়যন্ত্র এবং ৭১ ও ৭৫ এর খুনি, রাজাকার, জঙ্গ, জামায়াতের পক্ষ অবলম্বন করার চক্রান্ত। সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, খুনিদের, সন্ত্রাসীদের মুক্ত করার চক্রান্ত।
তিনি আরো বলেন, দেশে কোনো আলেম বা ধর্ম প্রচারক ধর্মপ্রচারের জন্য কারাগারে নেই। যারা আছে তারা কেউ আলেম নন, সবাই হত্যা, খুন, নারী ধর্ষণকারী, সন্ত্রাসে দোষী, অপরাধী। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব হচ্ছে দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দেওয়ার প্রস্তাব, জঙ্গি সরকার কায়েমের চক্রান্ত।
হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, উন্নয়নের ট্রেনে অনেক ঘরকাটা ইঁদুর ঢুকেছে।
প্রশাসনের ভেতর নব্য রাজাকাররা মাকড়সার জাল বুনছে। সরকারের ভেতর দুই-একটা খন্দকার মোস্তাকের ভুত ঢোকার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাবধান, কান্ডারি হুঁশিয়ার। ৭১ এর মিমাংসীত মৌলিক বিষয়ে বিতর্ক রেখে শুধু একটি নির্বাচন সংঘাতের সমাধান দেবে না। তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান করতে হলে গণতন্ত্র ও শান্তি চাইলে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠান নয়, ৭১ এর মিমাংসীত মৌলিক রাজনৈতিক প্রশ্নেও ঐকমত্য প্রয়োজন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকলের ঘনিষ্ঠ ঐক্য দরকার। এই যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। শত্রুরা মিত্রবাহিনীর ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করবে। ঘরের শত্রুও বিভীষণ, এটাও মনে রাখতে হবে।
এসময় জাসদ সভাপতি দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ৬ মাসের জন্য একটি প্যাকেজ অর্থনীতি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করে বলেন, তাহলে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব হবে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য বাজেটের ভেতর থেকেই স্বল্প সময়ের জন্য কিছু অদল-বদল করে অন্তত ৬ মাসের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ করা দরকার। নিত্যপণ্যের মূল্য ঠিক রাখতে গরীব-নিম্নবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখতে দৃশ্যমান শাস্তি দিয়ে সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে।
হাসানুল হক বিদ্যুতের অস্বাভিবক মূল্য বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে গরীবদের জন্য বিনামূল্যে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের লুটপাট এবং বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ধ্বংস করতে হবে। তারেক, কোকোর পাচার করা টাকা যেভাবে ফেরত আনা হয়েছে সেভাবে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে হবে।

আরও পড়ুন:  মহান বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top