বাংলাদেশে নতুন বিমান বন্দর তৈরী করতে আগ্রহ ভারতের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশে নতুন বিমান বন্দর তৈরী করতে আগ্রহ ভারতের।

ভারতীয় অর্থায়নে এলওসি (লাইন অব ক্রেডিট)-এর মাধ্যমে নতুন বিমান বন্দর তৈরি ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। এ ছাড়া বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিদ্যমান বিমান বন্দরসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সহযোগিতার কথাও ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। সাক্ষাতকালে দু’দেশের এভিয়েশন খাতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বেবিচক-এর ১২ জন কর্মকর্তা ভারতের এলাহবাদে বেসিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারস প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণের সব খরচ ভারত সরকার বহন করছে। এই সহযোগিতার জন্য বেবিচক চেয়ারম্যান ভারতের রাষ্ট্রদূত-এর মাধ্যমে ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিমান চলাচল চুক্তি ১৯৭৮ সালে সম্পাদিত হয়। আলোচনাকালে দু’দেশের বিদ্যমান বিমান চলাচল চুক্তি আধুনিকায়ন করার উপর জোর দেয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ তরান্বিত করার লক্ষ্যে আরও বেশি পরিমাণে নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর জন্য দুই দেশের বিমান সংস্থাগুলোকে উৎসাহিত করতে, বিশেষ করে ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রধান শহরগুলোর সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। দু’দেশের সিভিল এভিয়েশন ট্রেনিং একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের আকাশ সীমায় এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অনিষ্পন্ন বিষয়সমূহ সমাধানের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। কোভিড-১৯ পরিবর্তী সময়ে ভারতে চিকিৎসাগ্রহণসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বাংলাদেশী পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলোচনা শেষে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশের গর্ব, আকাংঙার প্রতীক ও স্বপ্ন মেট্রোরেল -- প্রধানমন্ত্রী

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top