বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে চলছে ।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে তারা এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। তারা বলেন, আমরা না কি সন্ত্রাস করতে চাই। সন্ত্রাস যদি এদেশে কেউ করে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ করেছে। আর এই আওয়ামী লীগ আবার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের কোন উস্কানিতে পা দিবেন না। সরকার উস্কানি দিচ্ছে, মিথ্যাচার করছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে কথা বলছেন। তাই সরকারের উস্কানিতে আপনারা পা দিবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে জনগণকে সঙ্গে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।
বিএনপি বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য মাঠে নেমেছে- । আমরা বিভাগীয় ১০টি সমাবেশে প্রমাণ করেছি- আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। এই ১০টি সমাবেশের কোন জায়গায় কোনো অরাজকতা এবং কোন বিশৃঙ্খলা হয় নাই।
সরকারকে দেশের মানুষ চায় না, এটা যখন তারা বুঝতে পেয়েছে- আমাদের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছে দেশের মানুষ। তখন তারা দিশেহারা হয়ে নানা রকম কথা-বার্তা বলছেন। আর সরকার যখন দেখছে যে তাদের দিন শেষ, সেজন্য দেশে-বিদেশের মানুষকে প্রতারণা করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।
তিনি বলেন, মহা একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে বাংলাদোশ অতিক্রম করছে। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় তাদের ক্ষমতাকে ঠিকে রাখার জন্য তারা এই সংকট সৃষ্টি করেছে।
এই সরকার আজকে দেশে-বিদেশে একটা অগণতান্ত্রিক সরকার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সরকার এবং হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। শোভাযাত্রায় বিএনপি নেতা ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, তাইফুল ইসলাম রফিকুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।