বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাহমুদুর রহমান শানুর
শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি,শৃঙ্খলা সমৃদ্ধি প্রয়োজন।
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর থেকে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছিল।পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ মুল্যায়ন করবে কতটা নিরাপদ। কতটাশান্তি ফিরে এসেছে। সেখানে কি কি সমস্যা রয়েছে। কতটুকু করণীয় রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ রাআ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এসেছিল।গুরুত্বের বিচারে এটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ চুক্তির ফলে তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা শৃঙ্খলা যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। অনেক রাস্তা ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়,মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির গীর্জাসহ সামাজিক অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল।পর্যটন শিল্পের ও প্রসার লাভ করেছ।এসব কর্মকাণ্ডের ফলে অর্থ নৈতিক ভাবে তিন পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নের অগ্রগতি হয়েছে । অর্থনীতির চাকা ও অগ্রসর ভুমিকা রেখেছে। কিন্তু ২৫ বছরে ও তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসে নাই। কিন্তু এলাকা ভিত্তিক বা আঞ্চলিক সংগঠনের কারণে। তাদের মধ্যে হানাহানি রক্তক্ষয়ী দ্বিধা দ্বন্দ্বের কারণে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়ে থাকে। অস্হিতিশীল পরিস্থিতি মূল কারণ রাজনৈতিক সংকটের স্হায়ী সমাধান না হওয়া ও ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়া। প্রতিটি মুহূর্ত চাঁদাবাজী,খুন খারাবি, মাদক ব্যবসা, খুন অপহরন নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা জন্য সরকার কে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু ২৫ বছরে ও তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আশানুরূপ কোন অগ্রগতি হয়নি। ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ আর জনসংহতি সমিতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা।তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা শান্তি শৃঙ্খলা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব নয়। আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ক্ষুধা দারিদ্র্য দূরীকরণ করতে হবে। সুখী সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। শান্তি চুক্তির পূর্বে দীর্ঘ ২১বছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ খুন হয়েছে। তা কখনো পুরণ হওয়া সম্ভব নয়। তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ৭২টি ধারা ছিল। তাঁর মধ্যে ৪৮ টি সম্পূর্ণ ভাবে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। ১৫ টি আবার আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। ৯ টি ধারা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা গেছে। পাহাড়ের মানুষ অত্যন্ত অমায়িক, শান্তিপ্রিয়, সহজ সরল জীবন যাপন করে থাকে। চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ের সমস্যার সমাধান কঠিনতর হয়ে উঠবে। এই চুক্তির ফলে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার ও পেয়েছিলেন।এটা বৃথা দেওয়া যায় না। তিন পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তেক্ষেপ দরকার।