জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত ৭১ লাখ বাংলাদেশী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত ৭১ লাখ বাংলাদেশী।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ বছর ৭১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচও এর তথ্যমতে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা এক কোটি ৩৩ লাখে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ই-লার্নিং হাইব্রিড ইভেন্টে এ তথ্য তুলে ধরে ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচও বলছে, ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের তিনটি বড় জনস্রোত প্রত্যক্ষ করেছে। বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের চিকিৎসা চাহিদা রয়েছে এবং কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে তাদের রাখা হয়েছে।
আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের এ ইভেন্টে নীতিনির্ধারক, জাতিসংঘের অংশীদার সংস্থা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজের সদস্য এবং গ্লোবাল স্কুলের স্টেকহোল্ডাররা সক্ষমতা-নির্মাণের মূল উপাদানগুলোকে তুলে ধরার জন্য জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নের মধ্যে একজন অভিবাসী, ২৮ কোটি ১০ লাখ আন্তর্জাতিক অভিবাসী এবং কয়েক মিলিয়ন ব্যক্তি রাষ্ট্রহীন। ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন, দ্বন্দ্ব, বাণিজ্য এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি এই প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করছে।
ইভেন্টের আলোচনায় অংশ নিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস বলেন, অভিবাসন, বাস্তুচ্যুতি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীদের এই সমস্যাগুলো অতিক্রম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
শরণার্থী ও অভিবাসীদের আরও ভালোভাবে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা তৈরির জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোবাল স্কুল অন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট হেলথ।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের জন্য মানবাধিকার এমন একটি অধিকার যা সর্বত্র সকল মানুষের, বিশেষ করে উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীদের জন্য প্রসারিত। বাংলাদেশ কেবল তাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগই দেয়নি বরং সম্প্রতি কোভিড-১৯ টিকা দিয়েছে। তাদের সামাজিক, পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং আইনি দুর্বলতাগুলো মোকাবিলার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টাও চালিয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক ডা. সান্তিনো সেভেরোনি বলেন, সকল দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত গ্লোবাল স্কুলের লক্ষ্য হলো নীতি নির্ধারক, স্বাস্থ্য সেক্টর ম্যানেজার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গবেষক, বেসরকারি সংস্থা, যুব প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরাও অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন:  বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরীমকে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামী ফাউন্ডেশনে সংবর্ধনা।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top