বিলেতের আয়না ডেক্স :- কপি রাইট কোম্পানীর কাছ থেকে ১০ হাজার ডলার পেলেন শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নুর জালাল।
গত এক বছর আগে চালু করা হয় বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের নামে ওয়েবসাইট। এর দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। তাদের তত্ত্বাবধানে ৪৭২টি গান সংরক্ষণ করা হয় সেখানে। এবার সেখান থেকেই গানের রয়্যালটি বাবদ ১০ হাজার ডলার পেয়েছেন শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালাল। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর কপিরাইট অফিসে জালালের হাতে চেক তুলে দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, রয়্যালটি হিসেবে আবদুল করিমের অ্যাকাউন্টে ১২ হাজার ডলার জমেছে। সেখান থেকে ১০ হাজার ডলার দেওয়া হলো। সরকারি খরচে চলতি অর্থবছরে আরও ২০জন শিল্পীর ওয়েবসাইট করা হবে।
জানা গেছে, শাহ আবদুল করিম ওয়েবসাইটে আরও কিছু অপ্রকাশিত নতুন কিছু গান খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
এদিকে, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মরমী কবি ও বাউল শিল্পী হাছন রাজার নামেও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়। সরকারি খরচে, কপিরাইট অফিসের তত্ত্বাবধানে হওয়া সাইট তিনটি উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনটি সাইটেই তথ্য, সংগীত ও ভিডিও রয়েছে। যে কেউ সাইটগুলো থেকে শিল্পীদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাবেন বলে জানান ওয়েব সাইট প্রস্তুতকারক জুয়েল মোর্শেদ।
হাছন রাজার প্রপৌত্র সামারীন দেওয়ান ‘হাছন রাজা’ লেখার অনুরোধ করেন। শাহ নূর জানান, শাহ আবদুল করিমের গান যেন স্বরলিপিসহ সংরক্ষণ করা হয়। আর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জানান, তিনি এমন উদ্যোগে অভিভূত।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা, ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ।
হমিন জানান, কমল দাসগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের জন্যও যেন এমন ওয়েবসাইট করা হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কপিরাইট আইন করা হচ্ছে, আগামী সংসদেই এটা উঠবে বলে আশা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য মেধাস্বত্বের স্বার্থ সংরক্ষণ করা।’
কপিরাইট-সংক্রান্ত কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন- এজন্য উপস্থিত অতিথিরা তাকে শুভেচ্ছা জানান