বিলেতের আয়না ডেক্স :- হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের সালেহ আহমেদ তাকরিম।
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় আয়োজিত ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে আবারও বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনলেন বাংলাদেশি ক্ষুদে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করা দেশে ফিরেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত প্রায় দুইটা নাগাদ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি। এসময় বিমানবন্দর গেটে হাফেজ তাকরীমকে শুভেচ্ছা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশি এই ক্ষুদে হাফেজ। এসময় তাকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম রাজধানীর মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী, ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামে। বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। আব্দুর রহমান জানান, ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় প্রচণ্ড মনযোগী ছিল তাকরিম। ছেলের জন্য দেশবাসীর জন্য দোয়া চান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসে তাকরিম। এসময় শুভেচ্ছা আর শ্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ। ফুুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় তাকে।
এর আগে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম ৭ম স্থান অর্জন করেন। এ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ৭ম স্থান অর্জন করার পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন তাকরীম।
এছাড়াও গত ২২ মে আন্তর্জাতিক কিরাত সংস্থা বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে লিবিয়ার বন্দরনগরী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত ১০ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
এর আগে তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তাকরীম বিশ্বে ১ম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করেন। ২০২০ সালের পবিত্র রমজান মাসে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় সালেহ।
তাকরীম ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক ছাত্র কুয়েত, মিশর ও আলজেরিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েও করোনার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।