স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তুতি যুক্তরাজ্য।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তুতি যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন ইঙ্গিত করেছেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের।’
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) লর্ড ক্যামেরন লন্ডনে ব্রিটেনের মন্ত্রিসভার এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ে জাতিসংঘেও ভূমিকা রাখবে ব্রিটেন ও তার মিত্ররা। খবর বিবিসি।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাজ্য কাজ করবে বলে ক্যামেরন বলেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবো এবং এ ইস্যুকে আরও গতিশীল করতে জাতিসংঘেও কাজ করব। আমাদের মিত্ররা এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি। কারণ, যদি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতিতে নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে গত কয়েক দশকের অপেক্ষা শেষ হওয়ার পথ সুগম হবে। তার বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতমুখর পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির ন্যায্যতা, নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ইসরায়েলের ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন বিষয়ও উঠে এসেছে।
সোমবারের বক্তব্যে লর্ড ক্যামেরন বলেন, ‘নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ফিলিস্তিনের জনগণ যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা ইতোমধ্যে পরিণত হয়েছে। এখন একে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া তাদের এই আন্দোলন ন্যায্য এবং ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে সমর্থন দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর দীর্ঘ ঐতিহ্য ব্রিটেনের রয়েছে।’
ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে ক্যামেরন বলেন, ‘ইসরায়েল হয়তো নিজ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছে, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পেরেছে, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনীও গড়ে তুলেছে; কিন্তু নাগরিকদের নিরাপত্তা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা এবং ইসরায়েলের গত কয়েক দশকের ইতিহাস মূলত এই ব্যর্থতার ইতিহাস।’
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে গাজায় মানবিক বিরতির আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি এই আলোচনা সফল হওয়ার ওপর আসলে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন অনেকাংশ নির্ভর করছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে আরব লীগের সম্মেলনে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং সেই রাষ্ট্রের একমাত্র বৈধ সরকার হিসেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে স্বীকৃতি দেয় আরব লীগ। ১৯৬৬ সাল থেকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে আন্দোলন করে আসা গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সম্মিলিত জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) শুরুর দিকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে ১৯৮২ সালে ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধান’ বা ইসরায়েলের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও মেনে নেয় পিএ।

আরও পড়ুন:  লড়াই করেও জিততে পারলো না মরক্কো, ফাইনালে ফ্রান্স

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top