ইসরাইলিগণমাধ্যমের প্রতিবেদন, গাজায় ৪ হাজার ইসরাইলী সৈন্য পঙ্গু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইসরাইলিগণমাধ্যমের প্রতিবেদন,
গাজায় ৪ হাজার ইসরাইলী সৈন্য পঙ্গু।
গাজায় একের পএক দুঃসংবাদ পাচ্ছে ইসরাইল। শনিবার প্রকাশিত দেশটির জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ওয়াল্লার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে অন্তত চার হাজার ইসরাইলি সৈন্য পঙ্গু হয়েছে। উপত্যকায় হামাসের আক্রমণে তেলআবিবের বহু সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক মারকাভা ট্যাঙ্কও রয়েছে। ওয়াল্লার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পঙ্গু হয়ে যাওয়া ইসরাইলি সৈন্য বেড়ে ৩০ হাজারে ঠেকতে পারে। খবর আনাদোলু অনলাইনের।
তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আহত সেনাদের সংখ্যা জানানো হয়নি। ইসরাইলি সমাজে নিজেদের মনোবল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি বলে ওয়াল্লার খবরে দাবি করা হয়েছে। ওই খবরে আরও বলা হয়, ক্লাসিফিকেশন-৩ অনুসারে চার হাজার সেনাকে প্রতিবন্ধী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এসব সেনার চিকিৎসাসহ সব অধিকার সেনাবাহিনী কর্তৃক সংরক্ষিত। সেনাদের মধ্যে যুদ্ধে পঙ্গুত্ব বরণ করায় তারা এ সুবিধা পাবেন। এর আগে ডিসেম্বরে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরনাথের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচ হাজারের বেশি ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫৮ শতাংশের বেশি সেনা হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অঙ্গচ্ছেদ করতে হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি সেনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু ঘোষণা করে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান ও ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লিমোর লুরিয়া বলেন, আমরা আগে কখনো এই ধরনের পরিস্থিতি দেখিনি। ৫৮ শতাংশের বেশি আহত সেনা তাদের হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছে।  অপরদিকে অনাহারে দিন পার করছেন গাজাবাসীকাউকে দেখলেই একমুঠো খাবারের আশায় ছুটে যাচ্ছেন ভুখা ফিলিস্তিনিরা। সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে লাশ। গত একশ’ দিনে ইসরাইলি বর্বরতায় উপত্যকার অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। গাজায় জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। মার্টিন গ্রিফিথস নামের এই কর্তকর্তা বলেন, সম্প্রতি আমার যেসব সহকর্মী উত্তর গাজায় যেতে পেরেছেন তারা সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা করেছেন। সেখানে সড়কে মানুষের লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। অনাহারের লক্ষণ স্পষ্ট। বেঁচে থাকতে খাবারের সন্ধানে মানুষ ট্রাকের পেছনে ছুটছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ বাড়ি ফিরতে পারলেও অনেকের কাছে আসলে বাড়ি যাওয়ার মতো কিছুই নেই। তিনি বলেন, গাজায় খাদ্য ও পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি দিন  দিন বাড়ছে।

আরও পড়ুন:  বিশ্ব খাদ্য দিবসে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করতে একসঙ্গে কাজ করুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top