বিশ্বব্যাপী চলমান দুই যুদ্ধ আর অশান্তি ঘুচিয়ে বিশ্বশান্তি কামনা করে প্রার্থনায় দেশব্যাপী উদযাপন হয়েছে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বব্যাপী চলমান দুই যুদ্ধ আর অশান্তি ঘুচিয়ে বিশ্বশান্তি কামনা করে প্রার্থনায় দেশব্যাপী উদযাপন হয়েছে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় গির্জায় হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। চার্চগুলোয় বড়দিন আনুষ্ঠানিকতা আগের রাত থেকে শুরু হলেও বড়দিনের সকালে হয় মূল প্রার্থনা। কাকরাইলে ‘সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রাল’ এ শীতের সকালে নানা বয়সের মানুষ আসেন প্রার্থনায় অংশ নিতে। সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রালের প্রার্থনায় ফাদার গাব্রিয়েল কোড়াইয়া সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন জীবন প্রেমময় হয়ে উঠুক এবং পূর্ণ হোক ভালোবাসায়।
বড়দিনের প্রার্থনায় প্রার্থনায় তিনি বলেন, ‘হে প্রভু সারা বিশ্বে যে অশান্তি বিরাজ করছে, আপনি শান্তি ফিরিয়ে দিন। আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায় হে প্রভু।’
বড়দিন সোমবার হলেও, খ্রিস্টান সম্প্রদায় এই উৎসব শুরু করেছে আগের রাত থেকেই। বাড়িতে বাড়িতে রঙিন স্টার, ছোট ছোট ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বল বা মরিচ বাতি দিয়ে সাজসজ্জা করা হয়। দিনের শুরুতে প্রার্থনা, শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময়, কেক-পিঠা তৈরি ও খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে চলছে উৎসব উদযাপন।
রাজধানীর অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁতেও চলছে বড়দিনের বিশেষ আয়োজন। এই আয়োজনে রয়েছে প্রার্থনা; আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। কোনো কোনো জায়গায় শিশুদের জন্য উপহারের ঝুলি নিয়ে হাজির থাকে সাদা চুলদাড়ির বুড়ো সান্তাক্লজ। এছাড়া কোনো কোনো শপিংমলও সাজানো হয়েছে বড়দিন উপলক্ষে।
কাকরাইলের ‘সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রাল’ ছাড়াও তেজগাঁওয়ে ‘হলি রোজারি’, মোহাম্মদপুরের সেন্ট ক্রিস্টিনা গির্জাসহ রাজধানীর বিভিন্ন চার্চ সেজেছে বড়দিনের সাজে। আলোকসজ্জা ছাড়াও রাখা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। চার্চে বানানো হয়েছে যিশু খ্রিষ্ট্রের জন্মের সময়ের প্রতীকী গোশালা। উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে চার্চ সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতেও।
দুই হাজার বছরের বেশি সময় আগে ২৫ ডিসেম্বর ইসরাইলের বেথেলহেম শহরে কোনো এক গোশালায় কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু। তার জন্মকাহিনীকেই এ উৎসবের মূল ভিত্তি ধরা হয়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার ও মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য ঈশ্বর যিশুকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।
উৎসব নির্বিঘ্ন করতে গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে। গির্জায় আসা সবাই আর্চওয়ের দিয়ে ভেতরে ঢুকেছেন। নিরাপত্তার এই আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ফাদার গাব্রিয়েল কোড়াইয়া।
এর আগে রোববার বড়দিন উপলক্ষে বাণী দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন:  বিতর্কিত ‘মিনি-বাজেট’ এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top