বিলেতের আয়না ডেক্স :- আব্দুর রহিম বাবলু
নাঙ্গলকোটে পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রবাসী কে হয়রানি ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম নিকট পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রবাসী কে হয়রানি ও ২৩মার্চ ২০২৩ইং মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন বাঙ্গড্ডা গ্রামের হাজী হেদায়েত উল্লাহ এর ছেলে হারুনুর রশিদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আলি আহমেদ কেঁদু, হাজী হেদায়েত উল্লাহ, মাহবুবুল হক, রহিম, মাহবুবুল হক মেম্বার, খোরশেদ আলম মেম্বার, আব্দুস সোবান, আবুল হোসেন, মোহন, সালেহ আহমদ, খোকন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হারুনুর রশিদ বলেন-
আমি একজন প্রবাসী চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে আমরা পরিচয় হয়, এক সাথে চলাফেরা করতাম, সে ক্ষেত্রে আমার থেকে টাকা আদান-প্রদান করতেন আমার ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে, সে হিসেবে আমি তার কাছে ৫৯ লক্ষ টাকা পাওনা হই, এবং সে টাকা চাওয়ায় বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে এবং গত ২৩ মার্চ ২০২৩ ইং অস্ত্র ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অর্থ আত্মসাতকারী, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী, মাটিখেকো ও মাদক সেবনকারী ১ নং বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ও পাওনা টাকা না দেওয়ার পন্তি সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আপনারা ইতি মধ্যে অবগত হয়েছেন যে, বর্তমান চেয়ারম্যান সবসময় মানকালত থাকেন, কখন কি বলেন তার হুস থাকে না। তার প্রমান হল তার সংবাদ সম্মেলন। সে তার সংবাদ সম্মেলনে আমাকে মানব প্রাচারকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যার কোন বৃত্তি নাই, যদি কোন প্রমান থাকে তাহলে আপনাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে দিততে বলেন, আর যদি না দিতে পারে তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।
বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সব সময় মাদকাসক ও মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকে তার প্রমান গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী-২০২৩ইং তারিখে তার আপন চাচাতো ভাই আবু সাঈদ (পিতা- রফিকুল ইসলাম) ৪৫০ পিছ ইয়াবা ও ৭ বোতল পোটকাসহ নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন, এর আগে তার ভাগিনা অনিকসহ গান্দাছি গ্রামের আরো ২ জনকে মাদকসহ নাঙ্গলকোট থাকা পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং তার সংবাদ সম্মেলনে পাশে থাকা ইসহাক মেম্বারের ছেলে ফাহাদ কিছু দিন আগে কাদের বাজার ব্যাংক ডাকাতির দায়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। এখন আপনারাই বলুন কে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসাকারী। আমি কখনো মাদকের সাথে জড়িত ছিলাম না। কখনো বিড়ি সিগারেটও খাইনি কিন্তু যখন তার সাথে আমার সম্পর্ক টাকা লেনদেন হয় তার সাথে মিশতে থাকি তখনি মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ি, এভাবে প্রায় দুই বৎসর মাদক সেবন করি। আমার প্রিয় নেতা আলহার সামছু উদ্দিন কালু ভাই ২০১৯ সালে ওমরাহ হজ্জে সৌদি গিয়ে কাবার সামনে আমাকে প করান আমি যেন আর মাদক সেবন না করি। সেই থেকে আমি এই পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে আপনাদের সকলের দোয়ায় মাদক সেবন থেকে দূরে আছি।
আমি ৫ লক্ষ টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, বাঙ্গড্ডা বাজার শাখায় বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এর স্ত্রী মোসাঃ কাউছার আক্তারের একাউন্টে জমা দেই।
রাতুল অভারসিজ এর ৭০ লক্ষ টাকার লেনদেনের বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেছে সাংবাদিক আবুল কাশেম কাপুরের ভাই আবুল হাসামের কাছে আমি কোন টাক নাকি মিথ্যা বলেছি। আমার এই লেনদেনের বিষয়টি বর্তমান বিচার করে আয় দেয়। আমার কাছে বর্তমান চেয়ারম্যান নিজ হাতে লেখা রায়ের কপি আমার কাছে আছে। আমি শুনেছি সে এখন ওদের কাছ থেকে ৫লক্ষ টাকা ঘুষ খেয়ে মিথ্যা বলছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম তার মামা আব্দুল মতিন এর মাধ্যমে আমি টাকা পাই এই মর্মে ব্লাংক চেক নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছেন, কিন্তু সে নির্বাচনের পরে টাকা চাহিলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি দিয়ে আসছে। তার মামা আব্দুল মতিন এর নিকট এখনো তার দেওয়া ক্লাকে চেকটি রয়েছে। আপনার চাহিলে আমার কাছে একটি ফোন রেকর্ড আছে তা শুনতে পারেন।
সাইফুল ইসলাম ওমরা করে আসার কয়েক দিন পর তার জেঠা শশুর বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন আওয়াজ লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ মঞ্জুমদের ছেলে মোঃ ফাহাদ সৌদির মদিনায় ২০ হাজার পিছ ইয়াবার নিয়ে ধরা পড়ে। গত ১ বছর যাবত সৌদি কারাগারে বন্দি রয়েছে। এই মানক প্রাচারকারীর প্রধান হোতা সে।
বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম অন্যোর ঘরে ২ বৎসর সংসার করা বউ কে ৩০ ভরি স্বর্ণ অলংকার ও নগদ টাকা সহ চুরি করে এনে জীবন শুরু করে। আপনারাই বলুন ইসলামী শরীয়াহ সম্মত কতটুক গ্রহণ যোগ্য? সে এক অর্থ লোভী, মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী। আমার বংশ মজুমদার কিন্তু তার বংশ পরিচয় কি জানতে পারবেন?
তিনি আরও বলেন – আমি সাইফুল ইসলাম ভাই কে ২০১৭ সালে সৌদি আরবে পাঠাই। তখনকার সময় এক বছরে আকামাসহ ডিলার মূল্য ছিল ১২ লক্ষ টাকা। সে বলেছে আমাকে ৮-১০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। সে মিথ্যা বলেছে, আমাকে কোন টাকাই দেয় নাই, আর দিয়ে থাকলে, কোথায় কিভাবে নিয়েছে? আপনাদের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার প্রমান পত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমি গান্দাছি গ্রামের ইলিয়াছের কাছে ৭০ হাজার টাকা পাওনা ছিলাম সেই টাকার ইলিয়াসের কাছ থেকে সাইফুল নিয়ে যায়। সে আমার গ্রামের জসিমের থেকে আমার জমাকৃত দুই লক্ষ টাকা আমার নাম করে নিয়ে যায়, সেই টাকা আজও ফেরত দেয়া নাই ।
তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক ও প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে সংস্ত্রাসী চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম থেকে আমার পরিশ্রমের ন্যার্য পাওনা টাকা আদায় ও আমার জান মালের নিরাপত্তাসহ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, মাননীয় আইজিপি মহোদয়, মাননীয় জেলা প্রশাসক, মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়, মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়, সহাকারী কমিশার (ভূমি), থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় সহ সকল আইন শৃংলা সংস্থার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। না হয় আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা বিম্ন হবে। তাই অনতিবিলম্বে তাকে চেয়ারম্যান পদ হইতে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ করছি।