বয়কট: ইসরায়েলে নিজেদের সব রেস্তোরাঁ কিনে নিচ্ছে ম্যাকডোনালস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  বয়কট: ইসরায়েলে নিজেদের সব রেস্তোরাঁ কিনে নিচ্ছে ম্যাকডোনালস।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রখ্যাত ফাস্টফুড চেইনশপ ম্যাকডোনাল্ড’স ইসরায়েলে থাকা তাদের সব রেস্তোরাঁ অ্যালোনিয়াল লিমিটেড থেকে ফের কিনে নিচ্ছে। ৩০ বছর ধরে অ্যালোনিয়ালই ইসরায়েলে ম্যাকডোনাল্ড’সের রেস্তোরাঁগুলো পরিচালনা করে আসছিল।
গাজায় গত জানুয়ারিতে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর সেদেশের সেনাদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে বয়কটের মুখে পড়ে অ্যালোনিয়াল। তাদের সঙ্গে ব্যবসা চালাতে থাকায় খোদ ম্যাকডোনাল্ড’সও এই বয়কটের ঝড় থেকে রেহাই পায়নি।
ব্যবসার নিম্নমুখী পতন ঠেকাতে ম্যাকডোনাল্ড’স শেষ পর্যন্ত অ্যালোনিয়ালের সঙ্গে পথচলায় ইতি টানল।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যালোনিয়ালের কাছ থেকে ২২৫টি রেস্তোরাঁ ফের কিনে নেওয়ার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করেছে ম্যাকডোনাল্ড’স।
চেইনশপটি বলেছে, জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ’ ব্যবসাকে ‘অর্থপূর্ণভাবে প্রভাবিত’ করেছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, যুদ্ধবাজ সেনাদের খাবার সরবরাহে অ্যালোনিয়ালের ঘোষণার পর ম্যাকডোনাল্ড’স বয়কটের ডাক পড়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে।
এমনকি কুয়েত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তানসহ কিছু দেশ ম্যাকডোনাল্ড’সের সঙ্গে দূরত্বের কথা জানিয়ে বিবৃতিও দেয়।
কেবল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নয়, মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন প্রতিবাদীরা সোচ্চার হওয়ায় বয়কট আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যেরও বাইরে। ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতেও তাদের বেচাবিক্রি কমে যায়।
আল জাজিরা বলছে, কেবল ম্যাকডোনাল্ড’স নয়, ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান ও তাদের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের সন্দেহ থেকে আরেক ফাস্টফুড চেইন স্টারবাকসও বয়কটেরও মুখে পড়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটির সিইও লক্ষ্মণ নরসিংহ সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও স্টারবাকসের লেনদেন ও বেচাবিক্রিতে ‘উল্লেখযোগ্য প্রভাব’ দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীদের একই সন্দেহ থেকে বয়কটের মুখে পড়েছে ফাস্টফুড শপ ডোমিনো’সও।

আরও পড়ুন:  মহাকাব্যের চরিত্র সিরাজুল আলম খান। আ স ম আব্দুর রব।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn
Scroll to Top