বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাহমুদুর রহমান শানুর
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
জাতিসংঘ প্রতিবছর দিনটির একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দেয় যেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলো নারীর উন্নয়ন-অগ্রগতি বিষয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথরেখা নির্ধারণ করতে পারে। এ বছরের প্রতিপাদ্যের মূল বিষয় ‘”নারীর ওপর বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও নারীকে অর্থনীতিকে অন্তর্ভূক্তিকরণ”’।
নারীর ওপর বিনিয়োগ শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়। নারীর ওপর সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিনিয়োগও সমভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে নারীর নিজের আত্নবিশ্বাস প্রকাশ জরুরি। নারী দিবসে নিজের অধিকারকে ভালোভাবে উপলব্ধি করে সে বিষয়ে সোচ্চার হওয়ারও বিকল্প নেই। এজন্য দিবসটিকে উদযাপনের বিকল্প নেই।
নারী দিবসে এক নারী অপর নারীকে শ্রদ্ধা জানাবেন। পুরুষদেরও দিনটিতে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা বাড়াতে হবে। তবে নারীই এই দিনটি উদযাপন করবেন ভালোভাবে। এক নারী অন্য নারীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে উদযাপন করতে পারে এই বিশেষ দিনটি। হোক না সে আপনার মেয়ে, কিংবা তিনি আপনার মা বা বয়জ্যেষ্ঠ কেউ, হোক না তিনি আপনার বান্ধবী, কিংবা সহকর্মী। নারী দিবসের উদযাপনে সকলে মিলে নারীকে আরও কাছ থেকে বুঝে ওঠার চেষ্টা করবেন। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি।